কিছুদিন আগে ফ্যামিলীসহ কক্সবাজারে তিন তারকা মানের
একটি হোটেলে থাকার পর যে অভিজ্ঞতাটা হলো
তা মনে হয় অনেকের কাজে লাগবে।
হোটেলে ২দিন অবস্থানের পর আমি একজন রিসিপসনিস্ট(মেয়ে - নাম অজানা) কে বললাম
আামি রুম ছেড়ে দিবো “চেক আউট” এর ব্যবস্থা করুন। ১২.০০টার সময় একজন বয় এসে আমার লাগেজগুলো নিয়ে গেলেন এবং রুমের চাবিসহ কার্ড গ্রহন করলেন।
আমার বিল কাউন্টারে পরিশোধ করলাম।
ঐ মেয়েটি বিল গ্রহন করলেন।
আমি উনাকে বললাম আমাকে একটি বিলের কপি দিন।
উনি বললেন ৫মিনিট অপেক্ষা করুন।
৫/৭ মিনিট অপেক্ষা করার পরও আমাকে কিছু জানানো হচ্ছে না।
আমার ব্যস্ততা থাকায় আমি নিজেই আবার জিজ্ঞাসা করলাম - আর কতক্ষন অপেক্ষা করতে হবে ?
ঠিক সেই মুহুর্তে একজন (সম্ভবত হাউজ কিপিং - এর লোক) এসে বললেন, স্যার ২টি “শাওয়ার ট্রায়াল মিসিং” হয়েছে।
আমি তো শুনেই অবাক হলাম এবং নিজেকে খুবই ছোট মনে হলো ।
আমি বললাম, একই প্রশ্ন তো আমারও !!
আমি ১ম দিন যখন রুমে উঠি তখন ৪টি তোয়ালে পেয়েছি এবং যথারিতী ৩টি তোয়ালে আমরা ব্যবহার করেছি।
পরের দিন সকালে আমরা সেন্টমার্টিন চলে যায় এবং রাত ৯.০০টায় ফিরে দেখি মাত্র ১টি বড় তোয়ালে রয়েছে।
আমার স্ত্রী বিষয়টি আমাকে জিজ্ঞাসা করলেও আমি বিষয়টিকে খুব একটা গুরুত্ব দিই নি ।
আমাদের ধারনা ছিল ভেজা তোয়ালেগুলো হাউজকিপিং - এর লোক দিনের বেলায় রুম পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করার সময় নিয়ে গেছে এবং নতুন তোয়ালে হয়ত আর দেবে না । এজন্য রিসিপসনে জানানো প্রয়োজন মনে করি নি।
ঐ ব্যাক্তি আমার কথা শুনার পর চলে গেলেন এবং আমি অপেক্ষা করতে লাগলাম।
আমি কয়েক মিনিট অপেক্ষা করার পর পুনরায় কাউন্টারে যেয়ে একজন ছেলে- কে (এই ছেলেটি ইতিপূর্বে বগুড়ার নাজ গার্ডেনে চাকরী করতেন। আমি একাধিক বার নাজ গার্ডেনে ছিলাম । কথাপ্রসঙ্গে ১ম দিন তার সাথে পরিচয় হয়) জিজ্ঞাসা করলাম, আমাকে কেন অপেক্ষা করতে হচ্ছে তা কি আপনি জানেন ?
উনি বললেন, স্যার আমি তো জানিনা।
আমি বললাম, বিষয়টির খবর নিন ।
কিছুক্ষন পর উনি এসে বললেন, স্যার আপনি চলে যান । বিষয়টি আমাদের। আমরা দেখব।
ঠিক এ মূহুর্তে কাউন্টারের সামনে এসে সবাইকে রাগান্বিত ভাবে আমি জিজ্ঞাসা করলাম, কার সাথে কি কথা বলতে হয় তাও আপনারা জানেন না !!
কেউ কোন কথা বললো না ।
চুরির মিথ্যা অপবাদ নিয়ে প্রচন্ড লজ্জায় আর ক্ষোভে হোটেল ত্যাগ করলাম ।
আমার স্ত্রী - সন্তানরাও প্রচন্ডভাবে অপমানবোধ করলো।
হোটেল ত্যাগের মুহুর্তে রিসিপসনের মেয়েটি একটি খাম ধরিয়ে দিলেন। আমি পরে খামটি খুলে আরো অবাক হলাম। আমাকে যে বিলটি দেয়া হয়েছে তার সাথে আমার কোন নাম ঠিকানার কিছুই মিল নাই। এমনকি বিলটি যে হোটেল কক্স টুডে দিয়েছে তাও বুঝার কোন উপায় নেই।
এই হলো আমাদের দেশের সার্ভিস অরিয়েন্টেড প্রতিষ্ঠানগুলোর হালহাকিকত !! সার্র্ভিসে কোন পেশাদারিত্ব নেই। কিন্তু মানে ৩তারকা বা ৪ তারকা।
শিক্ষা ঃ রুমে ফিরে যখন ১টি তোয়ালে পেলাম ঠিক তখনই তাদের জানালে এ সমস্যার উদ্ভব হতো না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।