আমি পদ্মাসেতু প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে চাই
বতর্মান সময়ের সবচেয়ে আলোচিত জাতীয় বিষয় হচ্ছে পদ্মাসেতু। দুর্নীতির অভিযোগে বিশ্বব্যাংক এই প্রকল্পে তাদের ঋণ দেয়ার বিষয়ে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। এডিবিও একই পথে হেঁটেছে। এখন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে পদ্মাসেতু তৈরির কাজ।
উদ্ভূত পরিস্থিতির মুখে পদ্মাসেতু নির্মাণ বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সংসদে বলেছেন, বাংলাদেশের নিজস্ব অর্থায়নেই পদ্মাসেতু হবে।
এ বিষয়ে মাননীয় স্পিকার আবদুল হামিদ সেলফোন কলে ২৫ পয়সা সারচার্জের প্রস্তাব দিয়েছেন জাতীয় সংসদে। আমি মাননীয় স্পিকারের মতের সঙ্গে একমত পোষণ করছি। আমি আমার সেলফোনের প্রতিটি কল থেকে ২৫ পয়সা দিতে চাই, তবে ফ্রি নয়, বিনিয়োগ করতে চাই পদ্মাসেতু নির্মাণ প্রকল্পে।
এখানে আমার প্রস্তাব হচ্ছে, বাংলাদেশের সকল মোবাইল ও ল্যান্ড ফোন ব্যবহারকারীর প্রতিটি কলে ২৫ পয়সা কেটে নেওয়া হবে এবং এই অর্থ প্রতিজনের বিনিয়োগ হিসেবে গৃহীত হবে। শেয়ার মার্কেটে বা ব্যাংকে যেমন একজন মানুষের অ্যাকাউন্ট থাকে তেমনি প্রতিজন মোবাইল/ফোন ব্যবহারকারীর নম্বরের নামে একটি অ্যাকাউন্ট থাকবে।
আগামী তিন বছর (প্রতি কলে ২৫ পয়সা হিসেবে) প্রতিজন অ্যাকাউন্ট হোল্ডারের নামে যে টাকা জমা হবে, সেতু নির্মাণ শেষ হলে সেতুর টোল আদায়কারী প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রিত টাকার লভ্যাংশ প্রতি বছর প্রতিজন বিনিয়োগকারীর (ফোন/মোবাইল ব্যবহারকারী) অ্যাকাউন্টে জমা হবে। যতদিন এই টোল আদায় কার্যক্রম চলবে ততোদিন এই লভ্যাংশ প্রদান করতে হবে। এতে করে সকল ফোন/মোবাইল ব্যবহারকারী যেমন বিনিয়োগে লাভবান হবেন, তেমনি পদ্মাসেতু তৈরিতে বড় অংকের টাকা সংগ্রহ করাও সম্ভব হবে।
আমার এই প্রস্তাবে সরকার রাজি থাকলে আমি প্রয়োজনে আরও একটি মোবাইল ব্যবহার করবো। আপনারা কি বলেন? ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।