আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পদ্মাসেতু বানাইয়াই ছাড়মু

থেমে যাবো বলে তো পথ চলা শুরু করিনি। ইদানিং বিশ্বব্যাংকের সাথে পাল্লা দিয়ে আমাদের পদ্মা সেতু বানানোর বিভিন্ন রকমের ফান্ড-রাইজিং কাজ হচ্ছে। মজার কথা কি, সরকার কিন্তু একবারও বলে নাই যে যাদেরকে লিগালি চুরি করতে দিল, সেই কুইক রেন্টাল থেকে কেন কুইক টাকা পদ্মা সেতুতে আনা হবে না! অর্থমন্ত্রী বললেন, যারা পদ্মা সেতু নিয়ে চাঁদাবাজি করছে, তাদের পেটানো দরকার। মননীয় মন্ত্রী মনে হয় খেয়াল করেন নাই, উনার এই প্রেসক্রিপসনে পয়লা পিটূনি খাবেন উনার নেত্রী নিজেই। সরকার প্রধান যখন বললেন যে আমরাই পদ্মা সেতু বানাবো, তখন মনে সন্দেহ জাগে।

আমরা যুদ্ধ জয়ী জাতি, সন্দেহ নাই। তবে এইটাও সত্যি আমাদের যুদ্ধ জয় করতে বন্ধুপ্রতীম দেশগুলোর সাহায্য লেগেছিল। প্রশ্ন হল, ১৯৮২ সালে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণাকারী লেজে হোমো এরশাদ আর আপনাদের সরকারের ভেতরে "দুর্নীতি" প্রশ্নে তফাতটা কোথায়? সামান্য দূর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এঁটে উঠতে পারছেন না, কি করে চিন্তা করেন যে পদ্মা সেতু বানাবেন? সরকার প্রধানের কাছে খুব সামান্য একটা প্রশ্নঃ খোন্দকার মশরুর হোসেন নামের এক লোক এই সব ঘটনার সাথে জড়িত, এবং ঘুষের আদান প্রদানের পেছনে সেই দায়ী। খুব সম্ভবত বিশ্বব্যাংকের তদন্তে সেই নামটিও এসেছে। তাকে বিচারের মুখোমুখি করছেন না কেন? টাকা যোগাড়ের জন্য আমার মত নাদান পাব্লিকের কথা তো আর আপনাদের কানে পৌঁছাবে না, তবে আমি এক টাকাও দেবো না পদ্মা সেতু বানাতে।

এখন যে উতসাহ দেখছেন, তার পুরাটাই কিছু ঘোষণা মাত্র, কাজের সময়ে একটা ফুটা পয়সাও খুঁজে পাবেন না। এই সত্যটা মেনে নিন। জাতির পিতার মত একদিন আপনাদেরও বলতে হবে, "পাকিস্তানিরা সব নিয়ে গেছে, রেখে গেছে সব চোর"। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.