I am simply, think positive - be positive হরতাল মানে ধ্বংস, হরতাল মানে অর্থনৈতিক ধস, হরতাল মানে এক দিন পিছিয়ে যাওয়া পৃথিবীর মানচিত্র ও বর্তমান অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট থেকে, হরতাল মানে আত্মহত্যা, হরতাল মানে সমস্ত জাতির ধস ও পতন নামা । এই সমস্ত কথা আমাদের দেশের জন্য প্রযোজ্য নয়, কারন এই সমস্ত সমস্যা আমাদের দেশে হয় না আর যদি তাই হতো তাহলে কখনই এই দেশে হরতাল এর ডাক দিন এর পর দিন অব্যাহত থাকতো না, তাই এ গুলো সমস্যা বাংলাদেশ ব্যতীত প্রতিটি দেশের জন্য প্রযোজ্য, কারন অন্যান্য দেশে এই সমস্ত নুংরামি হয় না ।
আমাদের দেশে হরতাল মানে এক দিন বেশি ছুটি পাওয়া, হরতাল মানে নিজের স্বার্থ পূরণের জন্য অপরের ক্ষতি ডেকে আনা, হরতাল মানে শিক্ষা, ব্যবসা এবং জনসাধারণ কে এক দিন না খাইয়ে রাখা, হরতাল মানে সারা দিন বাসায় বসে নিউজ চ্যানেল এ লাইভ অ্যাকশান দেখা, হরতাল মানে সকালে চা এর আমেজ পত্রিকায় জনসাধারণের দুর্গতি পড়ে মেটানো । এই দেশের রাজনীতি অন্ধ এবং অন্ধকারে রাখতে চায় দেশ এবং দেশের জনগণকে, তাই তো এই দেশের উন্নতি এখনও সুনিশ্চিত নয়। আর এর প্রধান কারন হচ্ছে হরতাল ।
এই পৃথিবীতেই, এক প্রান্তে সীমাহীন কর্ম ও মেধাবী মানব গোষ্ঠী চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, যে কি ভাবে মানুষ কে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব, সর্ব অত্যাধুনিক ঔষুদ আবিষ্কার করে । আর এই একই পৃথিবীতে্, অন্য এক প্রান্তে, সীমাহীন কর্ম ও মেধাবী মানব গোষ্ঠী চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে যে কি ভাবে মানুষ কে মারা সম্ভব, সর্ব অত্যাধুনিক অস্ত্র আবিষ্কার করে । তাহলে ভেবে দেখুন তো আমরা কন কর্ম ও মেধাবী মানব গোষ্ঠী আর কন প্রান্তে বসবাস করছি ।
কেন হরতাল একান্ত অস্ত্র হবে সরকার কে প্রতীবাদ করার জন্য। মূর্খ দেশের নাগরিক আমরা তাই আমাদের কিছু হয় নাই আর হবে ও না, কারন এক বার ভেবে দেখুন বিরোধী দল যখনি হরতাল ডাকে তা সাথে সাথে পালিত হয়, আর তাই হচ্ছে, উভয় দলের সমর্থকরাই জানেন যে হরতাল কতটুক ক্ষতি ডেকে আনে দেশ আর দেশের জনগণ এর জন্য তা জানার পরে ও কিভাবে সমর্থন করছে এই দেশের জনগণ এই অবান্তরিক কার্যকলাপ গুলি কে ।
পৃথিবী সব কয়টি দেশ সর্ব উত্তম প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে নিজের দেশকে পৃথিবীতে অন্যতম এক দেশ প্রমাণ করার জন্য, কিন্তূ আজ আমরা আমাদের ই সমালোচনা করেই সময় পাইনা (যে ভাবে আমি এই পত্রিকায় করছি)। এই দেশে এত বড় বড় উপদেষ্টা, সচিব, বিজ্ঞানী এবং মেধাবী ও বিজ্ঞ প্রশাসনিক কর্মকর্তা থাকার পরে ও কেন সমাধান হচ্ছে না । একটি দেশ এবং দেশের জনগণ কে পরিচালনা করার জন্য একটি সিস্টেম এর প্রয়জন হয় আর ঐ সিস্টেম গুলি আমরা বানাই, এর মধ্যে লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে আমরা কি ভাবে বানাচ্ছি আমাদের সিস্টেম।
আজ মানুষ মানুষ কে মেরে ফেলছে, আজ মানুষ মানুষ কে পুড়িয়ে ফেলছে, যারা এই সমস্ত নুংরামি করাচ্ছে আর যারা এই সমস্ত নুংরামি করছে তারা এক বার ভেবে দেখুন যাকে মেরেছেন তার বাবা মাকে, তার সন্তান ইস্ত্রিকে, কে দেখবে আর তার পরিবার পরিজনকে, কে সহযোগিতা করবে, অবশ্যই বিরোধী দল ও সরকার নয় ।
জনগন কে দৃষ্টি আকর্ষণ করে
“সরকার এবং বিরোধী” দল এর কাছে আমার একটি প্রশ্ন ঃ ২৪ ঘণ্টা হরতাল ডাকলে সরকারী রাজস্ব ক্ষতি হয় কত টাকা যদি উভয় দলই এর উত্তর জানেন তাহলে বন্ধ করুণ দেশ কে পঙ্গু করার মন্ত্র ।
প্রতিটি সমস্যার মধ্যেই লুকীয়ে থাকে তার সমাধান, আর এই সমস্যার সমাধান বের করার জন্য হরতাল নয়, একটু চিন্তা করতে হবে আর ভাবতে হবে তাহলেই খুজে পাবেন তার সঠিক সমাধান – যেমন ঃ আপনি রাস্তায় যে কন এক জনসাধারণ কে ধরে ইচ্ছে মত গালা গালি করেন, তার পর তার ফিরতি ব্যবহার কেমন হবে? তা আমাকে আর এখানে উল্লেখ করতে হবে না, কারন তা আপনি নিজেই বুঝতে পেরেছেন এবং জানেন ।
অসংখ্য পত্রিকায় বিক্রি হচ্ছে ইলিয়াস আলী কে নিয়ে নানান বিজ্ঞাপন, এক জন গুম হওয়ার বিনিময় যদি ৫ দিন হরতাল আর কিছু নির্দোষ মানুষের মর্মান্তিক মৃত্যু হয় তাহলে এই দেশের গতি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে এবং তার সাথে সাথে আমরা নষ্ট করছি আগামি প্রজন্মের রাজনীতি ।
চলছে বিজ্ঞাপন প্রতিযোগিতা কেউ বানিয়ে সাজিয়ে, কেউ উলট পালট করে, কখনো সরকার কে নিয়ে, কখনো বিরোধী দল কে নিয়ে, কিন্তূ সমাধান আজ পর্যন্ত নেই । প্রথম আলো প্রকাশ করেছে – বাংলাদেশ প্রশাসনিক সংস্থা এক হাজার দুই শত বার অভিযান চালিয়েছে, মুখ্য বিষয় এটা না যে কতো বার অভিযান চালিয়াছে মুখ্য বিষয় হল কি কি অভিযান চালিয়েছে, আর কেন অভিযান এর পরে ও সমাধান নেই ।
ধন্যবাদ
লেখক - রিয়াজ আলী ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।