জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির এ কে এম ইউসুফের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জমা দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়েছে।
আজ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি ঋষিকেশ সাহা ও আলতাফ হোসেন হাওলাদার এসব আবেদন জমা দেন । তবে এখনো এ বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য হয়নি।
এ কে এম ইউসুফের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত হওয়ায় মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্ত সংস্থা গত ২২ এপ্রিল এক সংবাদ ব্রিফিং করেন।
সেখানে আনুষ্ঠানিকভাবে সাংবাদিকদের জানানো হয়, একাত্তরে প্রায় ৭০০ মানুষকে হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির এ কে এম ইউসুফ। এ ছাড়া মুক্তিযুদ্ধকালে তাঁর বিরুদ্ধে আটজনকে হত্যা, ৩০০ বাড়ি লুট, ৪০০ দোকান লুটের পর অগ্নিসংযোগ ও ২০০ হিন্দুকে ধর্মান্তরিত করার প্রমাণ মিলেছে।
ধানমন্ডির সেফ হোমে আয়োজিত ওই সংবাদ ব্রিফিংয়ে তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক আবদুল হান্নান খান সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘রাজাকার বাহিনীর প্রতিষ্ঠাতা এ কে এম ইউসুফের বিরুদ্ধে আমরা মুক্তিযুদ্ধকালে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের ১৫টি অভিযোগ এনেছি। ’
তদন্ত সংস্থা আরও জানায়, মুক্তিযুদ্ধ শেষে দালাল আইনে এ কে এম ইউসুফের বিচার হয়েছিল এবং তিনি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছিলেন। কিন্তু পরে সরকার সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করলে ১৯৭৩ সালের ৫ ডিসেম্বর মুক্তি পান ইউসুফ।
গত বছরের ২২ জানুয়ারি থেকে তদন্ত সংস্থা তাঁর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্ত শুরু করে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।