বিচারপতি ওবায়দুল হাসান নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ বুধবার এই আদেশ দেয়।
গত ৯ ফেব্রুয়ারি কাশিমপুর কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে ইউসুফকে ঢাকার বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানেই করোনারি কেয়ার ইউনিটে তিনি মারা যান।
চিকিৎসকরা সেদিন জানান, ইউসুফের ‘হার্ট অ্যাটাক’ হয়েছিল। তিনি বার্ধ্যক্যজনিত বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছিলেন বলেও তার আইনজীবী তাজুল ইসলাম জানিয়েছিলেন।
একাত্তরে হত্যা, গণহত্যা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ১৩টি অভিযোগে গত বছর ১ অগাস্ট ইউসুফের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের পর বিচার কাজও অনেকটা এগিয়েছিল। বুধবার থেকেই এ মামলায় প্রসিকিউশনের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু হওয়ার কথা ছিল।
গতবছর ১২ মে প্রসিকিউশনের অভিযোগ আমলে নিয়ে ইউসুফের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ওইদিনই তাকে ধানমণ্ডির বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনের অভিযোগ, একাত্তরে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে হত্যা-লুণ্ঠনে সহায়তা দেয়ার জন্য গঠিত সশস্ত্র বাহিনীর ‘রাজাকার’ নামটি ইউসুফই চালু করেন।
তার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ নির্দেশ, পরামর্শ ও প্ররোচনায় একাত্তরে খুলনার বিভিন্ন এলাকায় গণহত্যা, হত্যা, ধর্ষণ, লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগসহ মানবতাবিরোধী নানা অপরাধ সংঘটিত হয়।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর দালাল আইনে ইউসুফের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হলেও আইনটি বাতিল হলে তিনি ছাড়া পান।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।