সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর আদেশে বলা হয়, ট্রাইব্যুনাল আইন অনুযায়ী কোনো আদেশের সাত দিনের মধ্যে পুর্নবিবেচনার আবেদন করতে হয়। কিন্তু এ আবেদন ওই সময়ের মধ্যে করা হয়নি বলে তা গ্রহণযোগ্য নয়।
গত ১ আগস্ট জামায়াতে ইসলামীর এই নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে তার বিচার শুরুর আদেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল। ৫ সেপ্টেম্বর এ মামলার শুনানি শুরুর কথা রয়েছে।
ইউসুফের আইনজীবীরা গত ২৪ আগস্ট অভিযোগ গঠনের আদেশ পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন।
সোমবার আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সাইফুর রহমান। প্রসিকিউশনের পক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর রানা দাসগুপ্ত।
আদেশের পর আসামিপক্ষের পক্ষের আইনজীবী সাইফুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, আদেশের সার্টিফায়েড কপি সময়মতো না পাওয়ায় নির্ধারিত সাত দিনের মধ্যে তারা আবেদন করতে পারেননি।
“১ অগাস্ট ট্রাইব্যুনাল অভিযোগ গঠন করার পর ওইদিনই আমরা সার্টিফায়েড কপির জন্য আবেদন করি। কিন্তু রেজিস্ট্রার অফিস ১৩ অগাস্ট সেটি ইস্যু করে।
এরপর ১৮ অগাস্ট আমরা ওই আদেশের কপি হাতে পাই। ”
ট্রাইব্যুনাল গত ১২ মে প্রসিকিউশনের অভিযোগ আমলে নিয়ে ইউসুফের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলে ধানমণ্ডির বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
মুক্তিযুদ্ধের সময় এদেশে পাকিস্তানিদের গঠন করা কথিত মালেক সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্য ইউসুফ এক সময় জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমিরের দায়িত্বও পালন করেছেন।
প্রসিকিউশনের অভিযোগে বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধকালে রাজাকার বাহিনীর প্রতিষ্ঠাতা একেএম ইউসুফ প্রায় ৭০০ জনকে হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এছাড়া তার বিরুদ্ধে ৩০০ বাড়ি ও ৪০০ দোকান লুটের পর অগ্নিসংযোগ এবং ২০০ হিন্দুকে ধর্মান্তর করার অভিযোগ রয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধের সময় কেন্দ্রীয় শান্তি কমিটির নির্দেশে ইউসুফ নিজে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিয়ে প্রথমে বৃহত্তর খুলনা জেলায় (খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট) শান্তি কমিটি গঠন করেন। পরে মহকুমা, থানা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে জামায়াত ও মুসলিম লীগের সদস্যসহ স্বাধীনতাবিরোধীদের নিয়ে শান্তি কমিটি গঠন করেন তিনি।
বিভিন্ন এলাকা থেকে ৯৬ জনকে নিয়ে তিনি খুলনার আনসার ও ভিডিপি ক্যাম্পে সশস্ত্র রাজাকার বাহিনী প্রতিষ্ঠা করেন। ওই অঞ্চলের শান্তি কমিটি, রাজাকার, আলবদর ও আলশামস বাহিনীসহ স্বাধীনতাবিরোধীদের নেতৃত্বে ছিলেন তিনি।
জামায়াতের উচ্চ পর্যায়ের নেতা, বৃহত্তর খুলনার শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান, রাজাকার বাহিনীর প্রতিষ্ঠাতা ও মন্ত্রী হিসেবে ইউসুফ পাকিস্তানি সেনাদের বিভিন্ন নির্দেশনা ও পরামর্শ দিতেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর দালাল আইনে ইউসুফের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হলেও আইনটি বাতিল হলে তিনি ছাড়া পান।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।