জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির এ কে এম ইউসুফের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আজ বুধবার জবানবন্দি দিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের ১৮তম সাক্ষী সিকদার হাবিবুর রহমান (৬১)।
বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ সিকদার হাবিবুর রহমানের জবানবন্দি নেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি মোহাম্মদ জাহিদ ইমাম। এ সময় আসামির কাঠগড়ায় ইউসুফ হাজির ছিলেন।
জবানবন্দিতে সিকদার হাবিবুর রহমান বলেন, একাত্তরের ৫ নভেম্বর ইউসুফের নির্দেশে রাজাকাররা ৪২ জনকে হত্যা করে। তিনি ওই ঘটনার প্রত্যক্ষ্যদর্শী।
জবানবন্দিতে সিকদার হাবিবুর রহমান বলেন, তাঁর বাড়ি বাগেরহাটের কচুয়ায়। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি যুদ্ধে যোগ দেন। একাত্তরের ২২ এপ্রিল তিনি কচুয়া বাজারে এসে দেখেন, স্থানীয় মিলনায়তনে শান্তি কমিটির সভা চলছে। তিনি সেখানে গিয়ে দেখেন, ইউসুফ শেষ বক্তা হিসেবে আওয়ামী লীগ ও হিন্দুদের শেষ করে দিতে বলেন। এরপর ওই এলাকায় আওয়ামী লীগ ও হিন্দুদের বাড়িতে হামলা হয়।
একাত্তরের জুলাই মাসের মাঝামাঝি ইউসুফের নির্দেশে ও প্ররোচনায় শাঁখারীকাঠির হিন্দু-অধ্যুষিত এলাকায় ৪৫ হিন্দুকে গরুর মাংস খাইয়ে, কলেমা পড়িয়ে ধর্মান্তরিত করা হয়। পরে ৫ নভেম্বর ওই ধর্মান্তরিত ব্যক্তিদের মুসলমানদের নামে নাম রাখা হয়।
জবানবন্দিতে রাষ্ট্রপক্ষের এ সাক্ষী আরও বলেন, তাঁদের সংবাদদাতা তৈয়ব আলী খাঁ ওরফে ছেতুর কাছে তিনি শোনেন, মুক্তিযুদ্ধকালে ৩০ আশ্বিন তাঁর চাচা আনোয়ার খাঁসহ মোট ২২ জনকে ধরে রাজাকাররা গুলি করে। এতে ২১ জন মারা যান ও সুনীল নামে একজন বেঁচে যান। ৫ নভেম্বর ইউসুফের নির্দেশে ৪০-৫০ জন রাজাকারের সশস্ত্র দল বাগেরহাটের কচুয়া থানার শাঁখারীকাঠিতে হামলা চালিয়ে ৪২ জন নিরস্ত্র হিন্দুকে গুলি করে হত্যা করে।
এ ঘটনা তিনি লুকিয়ে থেকে দেখেছেন।
জবানবন্দি শেষে হাবিবুর রহমানকে জেরার জন্য আগামীকাল বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।