আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা এবার তিন হাজার কোটি ডলারের ওপরে

প্রথমবারের মতো তিন হাজার কোটি ডলার অতিক্রমের পণ্য রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করতে যাচ্ছে সরকার।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সংস্থা রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) চলতি ২০১৩-১৪ অর্থবছরের জন্য তিন হাজার ৪৫ কোটি ৭০ লাখ ডলারের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রার একটি খসড়া তৈরি করেছে। এতে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ১২ দশমিক ৫৩ শতাংশ।
ইপিবির কর্মকর্তারা জানান, জুন মাসেই ২০১২-১৩ অর্থবছরের সম্ভাব্য রপ্তানি আয় দুই হাজার ৭০৬ কোটি ৬৪ লাখ ডলার এবং প্রবৃদ্ধি ১১ দশমিক ৩৮ শতাংশ ধরে নিয়েই এ খসড়া লক্ষ্যমাত্রা তৈরি করা হয়েছে। আর অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসের (জুলাই-মে পর্যন্ত সময়) রপ্তানি আয় এবং মাসওয়ারি রপ্তানির তথ্য বিবেচনায় নিয়েই সম্ভাব্য রপ্তানি আয় ও প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে।


ইপিবির প্রস্তাব সামনে রেখে আজ বুধবার বৈঠক করে চলতি ২০১৩-১৪ অর্থবছরের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রার চূড়ান্ত করতে পারে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
উল্লেখ্য, সদ্য সমাপ্ত ২০১২-১৩ অর্থবছরের পণ্য রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৭০১ কোটি ৮২ লাখ ডলারে। যদিও রপ্তানি আয়ের বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রা ছিল দুই হাজার ৮০০ কোটি ডলার। অর্থাৎ প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১১ দশমিক ১৮ শতাংশ।
যোগাযোগ করা হলে ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান শুভাশীষ বসু প্রথম আলোকে বলেন, ‘লক্ষ্যমাত্রা সব সময়ই উচ্চাকাঙ্ক্ষী হতে হয়।

নইলে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানো যায় না। ’
রানা প্লাজা ধস এবং যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে অগ্রাধিকারমূলক বাজার (জিএসপি) সুবিধা সাময়িক প্রত্যাহারের মতো ঘটনার পরও বর্তমান হারে রপ্তানি অব্যাহত থাকবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে শুভাশীষ বসু বলেন, ‘রানা প্লাজার ধসের পরের দুই মাসে রপ্তানি বেশ বেড়েছে। বিশেষ করে পুরো বছরের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি যেখানে ১১ শতাংশ সেখানে জুন মাসের প্রবৃদ্ধি ছিল ১৬ শতাংশ। আমার ধারণা, প্রবৃদ্ধির এই ধারা অব্যাহত থাকবে। ’ তিনি বলেন, মূল্য ও মানের দিক থেকে বাংলাদেশি পণ্য অনেক বেশি প্রতিযোগী।

বিশেষ করে তৈরি পোশাক। প্রতিযোগিতার দিক থেকে এ দেশি পণ্যের ধারে-কাছে কেউ নেই।
জানতে চাইলে বাণিজ্যসচিব মাহবুব আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আজ অনুষ্ঠেয় বৈঠকে রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা চূড়ান্ত করা হবে। ’
কোন খাতের লক্ষ্য কত: ইপিবি চলতি অর্থবছরের জন্য ওভেন পোশাক খাতের খসড়া রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে এক হাজার ২৪৭ কোটি ৮১ লাখ ডলার। ২০১২-১৩ অর্থবছরের রপ্তানি আয়ের ওপর ১৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরে এ লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে।


চলতি অর্থবছরের জন্য নিট পোশাক খাতের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে এক হাজার ১৪৯ কোটি ৪৮ লাখ ডলার। গত অর্থবছরের রপ্তানি আয়ের ওপর ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরে এ লক্ষ্যমাত্রা তৈরি করেছে ইপিবি।
প্রাথমিকভাবে ইপিবি ১১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরে লক্ষ্যমাত্রা চাইলেও নিট পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি বিকেএমইএর বিরোধিতায় সেখান থেকে সরে আসে। বিকেএমইএ ইপিবিকে জানায়, বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতা, শ্রমিক অসন্তোষ, আমদানিকারকদের নানা ধরনের শর্তের কারণে ১১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করা সম্ভব নয়।
এ বছরের জন্য চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানি আয়ের খসড়া লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে যথাক্রমে ৪৬ কোটি ৪৫ লাখ ডলার এবং ১৯ কোটি ৭৩ লাখ ডলার।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.