এক্সপোর্ট প্রোমোশন ব্যুরো (ইপিবি)’র তথ্যমতে চলতি বছরের জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত রপ্তানি খাত থেকে মোট আয় হয়েছে ৩২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। গত বছর একই সময়ে এ আয় ছিল ৫৪৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। হরতাল, অবরোধসহ রাজনৈতিক অস্থিরতায় বছরের ব্যবধানে আয় কমেছে ২১৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, অবরোধে রপ্তানি কার্যক্রম ব্যাপকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। পোশাক খাত পথে বসতে চলেছে।
হিমায়িত পণ্যেরও একই অবস্থা। শুধু এ খাতেই ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১৮০ কোটি টাকার।
বাংলাদেশ হিমায়িত খাদ্য রপ্তানিকারক সংস্থা (বিএফএফইএ)’র সভাপতি আমিন উল্লাহ বলেন, রপ্তানি করতে না পারায় ১ হাজার কোটি টাকা মূল্যমানের ১০ হাজার টন চিংড়ি ও অন্যান্য জাতীয় মাছ গুদামজাত করে রাখা হয়েছে। সময়মত পণ্য পাঠাতে না পারায় বিদেশি বাজার হারাচ্ছে বাংলাদেশ। এ বছর বড় দিনেও বিদেশি ক্রেতাদের মাল পাঠানো সম্ভব হয়নি।
উৎসব শেষ হয়ে যাওয়ায় তারা এখন অনেক কম মূল্যে মাল পাঠানের জন্য চাপ দিচ্ছে। তা না হলে তারা আমাদের কাছ থেকে মাল নেবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। এমন অবস্থা নিয়মিত চলতে থাকলে হিমায়িত খাত কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে।
একই অবস্থা পোশাক শিল্পেও। পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ সূত্রে জানা গেছে, চলতি ডিসেম্বর মাসের ১২ দিনে আলোচিত কারখানাগুলোর এক কোটি ১৬ লাখ ডলারের ক্ষতি হয়েছে।
এ হিসাব মাত্র ২৪ টি কারখানার। এর মধ্যে রয়েছে অর্ডার বাতিল, মূল্য ছাড়, বিমানে পণ্য পরিবহণের জন্য বাড়তি মাশুল,জাহাজীকরণ বিলম্বজনিত ক্ষতি।
এ সম্পর্কে তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) নেতা শহীদুল্লাহ আজিম চলমান রাজনৈতিক সংকট, পোশাক শিল্পে অস্থিরতা, রপ্তানি আদেশ বাতিলসহ পণ্য পরিবহন সংকটকে দায়ী করেন।
তিনি বলেন, সামগ্রিক অস্থিরতায় কারখানা মালিকেরা কাজের অর্ডার পাচ্ছেন না। বাতিল হয়ে যাচ্ছে রপ্তানি আদেশ।
এছাড়া সময় মতো পণ্য পৌঁছাতে না পারায় জরিমানা গুনতে হচ্ছে ১৫ লাখ ৪৭ হাজার ১৮৮ মার্কিন ডলার। আবার আকাশ পথে পরিবহনের জন্য অতিরিক্ত খরচ হয়েছে ১০ লাখ ৩৮ হাজার ৩৯৮ মার্কিন ডলার। জাহাজীকরণে বিলম্ব মাশুল ৭২ লাখ ৫৫ হাজার মার্কিন ডলার, ভাংচুর-নৈরাজ্যে ১৯ লাখ ২১ হাজার ২১৯ মার্কিন ডলারের ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন আজীম।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।