আজ ৪ আগস্ট। ২০০৪ সালের এই দিনে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫ জন ছাত্রকে বিভিন্ন মেয়াদে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিস্কার করে। যার মধ্যে দুইজনকে আজীবনের জন্য ক্যাম্পাস থেকে বহিস্কার করা হয়।
সেদিন যে ১৫ জনকে বহিস্কার করা হয়েছিল তারা কেউই এমন কোন অপরাধ করেন নি যে জন্য তাদের ছাত্রজীবনকে ধ্বংস করে দিতে হবে। তাদের একটাই অপরাধ ছিল, তারা ছিল ক্যাম্পাসের জনপ্রিয় ছাত্র।
অরাজনৈতিক এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের কর্তাব্যক্তি উপাচার্যসহ একটি গ্রুপ ছিল যারা দূর্ণীতি ছাড়া কিছুই বুঝত না। নিয়োগ থেকে শুরু করে ভর্তি পর্যন্ত দুর্ণীতিগ্রস্থ ছিলেন তারা। আর উপাচার্য মহোদয়ের আর একটি সদগুন! ছিল, তার নারী লোভ।
এই ছাত্ররা বিভিন্ন সময়ে তার এধরনের কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করেছিল বলে ২০০৪ সালের ৪ঠা জুলাই এক সাজানো নাটক মঞ্চস্থ করে প্রথমে ৩ জনকে সাময়ীক বহিস্কারের একমাস পর ৪ ঠা আগস্ট ঐ তিনজনের ২ জন সহ মোট ১৫ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিস্কার করে।
বহিস্কৃত ছাত্রদের মধ্য থেকে দুই জন মহামান্য হাইকোর্টে রিট করলে ২০০৫ সালের ২৫ এপ্রিল মহামান্য হাইকোর্ট ছাত্রদের উপর আরোপিত সাজাকে অবৈধ মর্মে রায় প্রদাণ করেন।
ঐ রায়ের প্রেক্ষিতে বাকি ১৩ জনের শাস্তি ও স্থগিত করে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।