পরে বলবো
বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সিদ্ধান্ত ছাড়াই বুড়িগঙ্গা নদীর তলদেশের স্তূপীকৃত পলিথিন ও বর্জ্য অপসারণের কাজ শুরু করেছে সরকার। কিন্তু এখন পর্যন্ত সরকার কোথায় উত্তোলনকৃত বর্জ্য রাখবে সে জায়গা বা এগুলো দিয়ে কি করা হবে তার নির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি বলে জানা গেছে।
বিআইডব্লিউটিএ সূত্রে জানা যায়, প্রাথমিকভাবে শুরু হওয়া বর্জ্য অপসারণের আওতায় বুড়িগঙ্গা নদীর ১ কিলোমিটার জায়গার প্রায় ৩ লাখ ঘনমিটার বর্জ্য উত্তোলন করা হবে। বর্জ্য রাখার জন্য প্রাথমিকভাবে ঢাকা সিটি করপোরেশনের আমিন বাজারের গার্বেজ ফেলার জায়গা নির্বাচন করা হলেও পরে তা থেকে সরে আসে বিআইডব্লিউটিএ। সেখানের ৫৬ একর জমির অর্ধেক ইতোমধ্যেই ভরাট হয়ে গেছে।
বাকিটাও সিটি করপোরেশনের লাগবে। উত্তোলনকৃত বর্জ্য রাখার জন্য প্রায় ২১ একর জমি লাগবে। যাতে ১০ ফুট উঁচু করে বর্জ্য রাখতে হবে।
সূত্র আরো জানায়, এ বর্জ্য বিক্রির চেষ্টা চলছে। এ জন্য আজ টেন্ডার আহ্বানের কথা রয়েছে।
তবে ইতোমধ্যে অনেক প্রতিষ্ঠানই বিনা পয়সায় এ বর্জ্য নেয়ার চেষ্টা করছে বলে জানা গেছে।
বেলার নির্বাহী পরিচালক সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান বলেন, সরকার উত্তোলনকৃত বুড়িগঙ্গার বর্জ্য আমিন বাজারে রাখার কথা ভাবছে। কিন্তু সে জায়গা হচ্ছে বন্যাপ্রবণ এলাকা। এখানে বর্জ্য ফেলা হলে তা নদীর পানিতে মিশবে এবং পানি দূষিত করবে। যদি এখানেই রাখে তবে মধুমতিসহ অন্য প্রকল্প বাস্তবায়নকারীদের দোষ কোথায়।
বিদ্যমান আইন অনুযায়ী বন্যাপ্রবাহ এলাকায় ডাম্পিং ডিপো স্থাপন অনুমোদিত নয় এবং উল্লেখিত ডাম্পিং ডিপোটি লাল শ্রেণীভুক্ত হওয়া সত্ত্বেও পরিবেশগত অনুমোদন ব্যতীত এবং স্থানীয় জনগণের মতামত উপেক্ষা করে বন্যাপ্রবাহ এলাকায় স্থাপন করার প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে বেলা জনস্বার্থমূলক একটি মামলাও দায়ের করেছে (রিট মামলা নং- ৭৪৬৫/২০০৬), যা বর্তমানে মহামান্য হাইকোর্টে বিচারাধীন রয়েছে। এমতাবস্থায় বেলা বিচারাধীন মামলায় হস্তক্ষেপ এড়াতে এবং নদী ও জলাশয় রক্ষায় সরকারের উদ্যোগকে ফলপ্রসূ করতে বুড়িগঙ্গা নদীর তলদেশে জমে থাকা পলিথিনসহ অন্যান্য বর্জ্য উত্তোলনের পর তা সঠিকভাবে ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে মাতুয়াইলের ডাম্পিং ডিপোতে ফেলার দাবি জানায়।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সাধারণ সম্পাদক ডা. আব্দুল মতিন বলেন, পবিরেশবাদীরা সোচ্চার হওয়ার ফলেই সরকার বুড়িগঙ্গা থেকে বর্জ্য উত্তোরণের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এতে নতুন করে সমস্যা তৈরি হয়েছে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সঠিকভাবে করা না হলে পরিবেশ বিপর্যয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।
আর এগুলো পরিশোধন করার ব্যবস্থাও বাংলাদেশে নেই বলে জানান তিনি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।