আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সংসদীয় আসন

সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ নিয়ে ক্ষোভ দানা বেঁধে উঠছে। নির্বাচন কমিশন আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে ৫৩টি সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাস করেছে। পুনর্বিন্যাস সত্ত্বেও দেশের নির্বাচনী আসনগুলোর আয়তন ও জনসংখ্যা নিয়ে ব্যাপক বৈষম্য রয়ে গেছে। সম্ভাব্য নির্বাচন প্রার্থী এবং এলাকাবাসীর অভিযোগ, নির্বাচন কমিশন সীমানা নির্ধারণে জনসংখ্যা বা আয়তন কোন মানদণ্ড গ্রহণ করেছে তা স্পষ্ট নয়। পুনর্বিন্যাস করা ৩০০ আসনের মধ্যে ঢাকা-১৯ আসনের ভোটার সংখ্যা ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৫৭ জন। এর সাড়ে চার ভাগের এক ভাগ ভোটার নিয়ে গঠিত শরীয়তপুর-২ আসন, ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৫২ হাজার ৮৪১ জন। দশম সংসদ নির্বাচনের জন্য যে সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছে তাতে তিনটি আসনের ভোটার সংখ্যা ছয় লাখের ওপরে। ছয় লাখের নিচে অথচ পাঁচ লাখের ওপরে ভোটার এমন আসন সংখ্যা দুটি। চার লাখের ওপরে এবং পাঁচ লাখের নিচে ভোটার সংবলিত এমন আসন ১৯টি। এর বিপরীতে ১২টি আসনের ভোটার সংখ্যা দুই লাখেরও নিচে। আসন নির্ধারণের পাশাপাশি সীমানা নির্ধারণেও যথেচ্ছতার অভিযোগ করা হয়েছে সম্ভাব্য প্রার্থীদের পক্ষ থেকে। কুমিল্লা-১০ আসন নিয়ে সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে বিরাজ করছে গভীর অসন্তোষ। ৯০ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ৪৫০ কিলোমিটার আয়তনের এ আসনে নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে প্রার্থীদের নাভিশ্বাস উঠবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করেও কোনো কাজ হয়নি। আমাদের মতে, রাজধানী ঢাকাসহ সিটি করপোরেশন এলাকার বাইরে জনসংখ্যার ভিত্তিতে আসন নির্ধারণ হওয়া উচিত। জাতীয় সংসদের নির্বাচনী আসনের আয়তন যাতে বিশাল না হয় সে দিকেও লক্ষ্য রাখা উচিত। নির্বাচন কমিশন সীমানা নির্ধারণের ক্ষেত্রে এসব বিষয়ে নজর দিয়েছে কিনা তা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ রয়েছে। নির্বাচনী আসন নির্ধারণে বিভিন্ন এলাকার ঐতিহ্যগত যোগসূত্রগুলোও বিবেচনায় আনা উচিত। সুষ্ঠু নির্বাচনের অন্যতম পূর্বশর্ত হলো যৌক্তিকভাবে সীমানা নির্ধারণ। এ ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন নিজেদের যোগ্যতাকে যথাযথভাবে তুলে ধরতে পারেনি। ফলে সীমানা নির্ধারণে এ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি বাইরের চাপের মুখে ছিল কিনা সে প্রশ্নও জোরেশোরে আলোচিত হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের ভাবমূর্তির জন্য এ ধরনের বিতর্ক বিড়ম্বনা বৈকি।

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.