আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শীর্ষস্থানীয় যুদ্ধাপরাধীদের কীর্তিকলাপের সংক্ষিপ্ত বর্ণনাঃ শেষ পর্ব

বাঙ্গালী জাতির গৌরবময় ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব এবং জাতীয় সংস্কৃতির জন্য অপমানজনক কোনকিছু এই ব্লগে লেখা যাবে না।

আজকের পর্বের মাধ্যমে শেষ করছি ১৭ পর্বের এই অনুবাদ। এই অনুবাদগুলোতে আমি চেষ্টা করেছি মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন শীর্ষস্থানীয় যুদ্ধাপরাধীদের দ্বারা সংঘটিত ঘৃণ্য অপকর্মগুলোর অংশবিশেষ তুলে ধরতে। এই লেখাগুলোর কোন অংশ আমার নিজের লেখা নয়, একটি ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া লেখার বাংলা অনুবাদ করেছি মাত্র। ঘৃণ্য এইসব নরকের কীটদের অপকর্মের শেষ নেই, সেগুলো সব আমার একার পক্ষে তুলে ধরা সম্ভব নয়।

কিছু অংশের অনুবাদ করে ব্লগারদের জানানোর জন্য ব্লগে তুলে ধরলাম। আশা করি যুদ্ধাপরাধীদের নানা অপকর্মের কিছু অংশ হলেও আমার এই পোষ্টগুলো থেকে ব্লগাররা জানতে পারবেন। ব্লগারদের সুবিধার জন্য পুরো লেখাটির একটি পিডিএফ সংস্করণ এই পর্বের সাথে যুক্ত করলাম। পর্ব-১ পর্ব-২ পর্ব-৩ পর্ব-৪ পর্ব-৫ পর্ব-৬ পর্ব-৭ পর্ব-৮ পর্ব-৯ পর্ব-১০ পর্ব-১১ পর্ব-১২ পর্ব-১৩ পর্ব-১৪ পর্ব-১৫ পর্ব-১৬ আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ (বাকী অংশঃ) গাউস যা বলেছেন আবদুস সালাম তার পুনরুল্লেখ করেছেন। সালাম মুজাহিদকে জামাতের একজন কেন্দ্রীয় নেতা হিসেবে চিহ্নিত করেন এবং এই পদের কারণে তার কর্মকান্ডসমূহ সমগ্র ঢাকাশহর ব্যাপী বিস্তৃত ছিল।

সালাম বলেন, “আমি ফিরোজের বাড়ী থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ দলিল ও ছবি উদ্ধার করি। এই প্রমাণগুলোর মধ্যে ছিল ঢাকায় কাজ করা রাজাকারবাহিনীর তালিকা। তাদের বিভিন্ন কাজের ছবি ও তাদের জীবন বৃত্তান্তও ছিলো প্রমাণের মধ্যে। পরে আমার বাসায় পুলিশি হামলার পর প্রমাণগুলো হারিয়ে যায়। যুদ্ধের পর ফিরোজের বাড়ীটি মুক্তিযোদ্ধাদের একটি অস্থায়ী ক্যাম্প হিসেবে ব্যবহার করা হতো।

” কলামিস্ট মাহবুব কামাল ফিরোজের বাড়ীটিকে ভূ-গর্ভস্থ একটি কারাকক্ষ ও ষড়যন্ত্রের স্থল হিসেবে বর্ণনা করেন। রাজাকারদের সশ্রস্ত সন্ত্রাসীরা এই বাড়ী থেকেই মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়ীতে হামলা করতো। তিনি বলেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা জোবেদ আলীর বাসায় কয়েকবার অভিযান চালানো হয়েছিল। “তারা আমার এক বন্ধ নাজু’র বাসায়ও কয়েকবার তল্লাশী চালায়, ’৭১ এর আগষ্ট থেকে নাজুকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিলনা। আমরা বিশ্বাস করলাম যে নাজু নিশ্চয়ই ফিরোজ ও তার দোসরদের হাতে নিহত হয়েছে।

” কামাল আরো বললেন যে, ’৭১ সালে তাঁর এক চাচাতো ভাই চাকুরী খুঁজতে এসে তার বাসায় থাকতো। মহসিন নামের তার সেই চাচাতো ভাই নামাজ পড়ার জন্য স্থানীয় মসজিদে যেতো, সেখানে মুজাহিদ তাকে রাজাকার বাহিনীতে যোগ দেয়ার জন্য বলে। পরে কামালের পরিবার মহসিনকে মুজাহিদের দল থেকে বাঁচানোর জন্য তাকে গ্রামে ফেরত পাঠাতে হয়েছিল। ফকিরারপুল শহরতলির স্থানীয়দের মতে, ফিরোজ ৩০০যুবকদের সমন্বয়ে রাজাকারবাহিনী গঠন করে এবং স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রতি সহানুভূতি প্রদর্শনকারী সাধারণ লোকদের হত্যা ও নির্যাতনের জন্য তাদের নিয়োগ করে। স্থানীয়রা আরো জানায় যে, ফিরোজের বাড়ীতে মহিলাদের নির্যাতন করা হতো।

একজন শীর্ষস্থানীয় ফুটবল খেলোয়ার, যাকে ফিরোজের লোকেরা ধরে নিয়ে গিয়েছিল, তিনি বলেন, তাকে সেই বাড়ীতে নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয়েছিল। তিনি আরো জানান, তিনি ফিরোজের বাহিনী দ্বারা দিনে-রাতে বহু যুবমহিলাকে ধর্ষিত হতে দেখেছেন। মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের পর কয়েকবছর আত্নগোপনে থাকার পর, অন্যান্য রাজাকার সহযোগীদের মতো মুজাহিদ আবার ফিরে আসে এবং ১৯৭১ সালের অসমাপ্ত কাজ শেষ করতে শুরু করে। ১৯৭৮ সালের সাপ্তাহিক বিচিত্রার একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, মুজাহিদ আবদুস সোবহান নামের একজন প্রতিপক্ষের ছাত্রনেতাকে হত্যায় নেতৃত্ব দেয়। কয়েকবছর আগে বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে রাজত্ব করা বাংলা ভাই এর বাহিনী সৃষ্টিতে মুজাহিদ অন্যতম শীর্ষ ভূমিকা পালন করেছিল বলে যে কেউ বাজী ধরতে পারে।

সূত্র পিডিএফ ফাইল এর মিডিয়াফায়ার লিংক

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.