বাঙ্গালী জাতির গৌরবময় ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব এবং জাতীয় সংস্কৃতির জন্য অপমানজনক কোনকিছু এই ব্লগে লেখা যাবে না।
পর্ব-১ পর্ব-২ পর্ব-৩ পর্ব-৪ পর্ব-৫ পর্ব-৬ পর্ব-৭ পর্ব-৮ পর্ব-৯ পর্ব-১০ পর্ব-১১
আব্বাস আলী খান (বাকী অংশঃ)
২৫শে নভেম্বর একটি বিবৃতিতে আব্বাস আলী খান বলল, “ আমার কোন সন্দেহ নেই যে ভারতীয় সেনাবাহিনী পূর্ব পাকিস্তানকে হজম করার ঘৃণ্য উদ্দেশ্যে মুক্তিবাহিনীর ছত্রছায়ায় একটি নির্লজ্জ উন্মত্ততা শুরু করেছে। আমাদের সশ্রস্ত বাহিনী একা এই যুদ্ধ চালিয়ে নিয়ে যেতে পারবেনা। আমাদের সৈন্যদের হাত শক্ত করা এবং আমাদের প্রিয় পাকিস্তানের সন্মান রক্ষায় সাহায্য করা প্রতিটি নাগরিকের কর্তব্য। ” একই বিবৃতিতে বাঙ্গালী বুদ্ধিজীবি ও মুক্তিযোদ্ধাদের তীর্যক উদাহরণ তুলে ধরে সে জনগণকে “দেশবিরোধী ও ধ্বংসাত্বক কর্মকান্ডে লিপ্ত লোকদের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকা, এসব বস্তুকে নিশ্চিহ্ন করতে সশ্রস্ত বাহিনী ও শান্তিবাহিনীকে সাহায্য্ করা”-র আহবান জানায়।
বুদ্ধিজীবি হত্যার চারদিন আগে ১০ই ডিসেম্বর সে আরেকটি বিবৃতিতে বলল, “বদরের যুদ্ধে ৩১৩জন মুসলমান এক হাজারেরও অধিক কুরাইশদের মুখোমুখি হয়েছিল এবং বিজয়ী হয়েছিল। আজ ১৩ কোটি জনগণ (তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সন্মিলিত জনসংখ্যা) এই পবিত্র ভূমিকে রক্ষার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত। আমাদের শত্রুরা হচ্ছে তারা, যারা ভারত এবং সেই কাল্পনিক দেশ বাংলাদেশের পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছে। তোমাদের এসব শত্রু থেকে সতর্ক থাকতে হবে। প্রথম সুযোগেই তাদের বিষদাঁত ভেঙ্গে দাও।
আমাদের রাজাকার, আল-বদর এবং আল-শামস বাহিনীর সাথে হাত মেলাও এবং দেশরক্ষার কাজে নিজেকে উৎসর্গ কর। ”
গভর্ণর মালেক পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর আক্রমণকে সুসংহত করার জন্য ডিসেম্বর মাসে বেশ কিছু উপ-কমিটি গঠন করে। খান এ এস এম সোলায়মানের সাথে তথ্য উপকমিটির দায়িত্ব নেয়। ১৯৭১ সালের পরও খান বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রচারণা অব্যাহত রাখে। ১৯৮০ সালে, ’৭১ পরবর্তী প্রথম সংবাদ সন্মেলনে বক্তৃতা করার সময় সে এবং তার দলের কৃতকর্মের জন্য খান কোন অনুশোচনা করেনি।
এর পরিবর্তে সে বলল, “১৯৭১ সালে আমরা সঠিক কাজ করেছিলাম। ” এমনকি আজও আব্বাস আলী খান বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে এবং মানুষের বাঙ্গালী জাতিসত্ত্বার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। বাংলাদেশকে দ্বিতীয় পাকিস্তানে পরিণত করার জন্য তার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
সূত্র
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।