আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শীর্ষস্থানীয় যুদ্ধাপরাধীদের কীর্তিকলাপের সংক্ষিপ্ত বর্ণনাঃ পর্ব - ১৫

বাঙ্গালী জাতির গৌরবময় ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব এবং জাতীয় সংস্কৃতির জন্য অপমানজনক কোনকিছু এই ব্লগে লেখা যাবে না।

পর্ব-১ পর্ব-২ পর্ব-৩ পর্ব-৪ পর্ব-৫ পর্ব-৬ পর্ব-৭ পর্ব-৮ পর্ব-৯ পর্ব-১০ পর্ব-১১ পর্ব-১২ পর্ব-১৩ পর্ব-১৪ মোহাম্মদ কামারুজ্জামান (বাকী অংশঃ) ৪. তাপস সাহা কমিশনকে জানায় যে, মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে, শেরপুর কলেজের ইসলামিক ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের তৎকালীন বিভাগীয় প্রধান সৈয়দ আবদুল হান্নানকে সম্পূর্ণ দিগম্বর অবস্থায় এবং মুন্ডিত মস্তক ও গলায় জুতার মালা পরিহিত অবস্থায় শহরের সড়কজুড়ে প্রদক্ষিণ করানো হয়। কামারুজ্জামান এবং তার দল অধ্যাপককে দুপুরবেলা সমগ্র শহরজুড়ে টেনে নিয়ে যায় এবং তাকে টেনেহিঁচড়ে নেয়ার সময় চামড়ার বেল্ট দিয়ে প্রহার করা হয়। ৫. আওয়ামী লীগ এর প্রাক্তন নেতা জিয়াউল হক বলেন, ২২শে আগষ্ট বিকেল ৫টার দিকে আল-বদরের তিনজন লোক তাকে ধরে নিয়ে যায়। এরপর তাকে একটি ক্যাম্পের অন্ধকারাচ্ছন্ন গর্তের ভেতর দু্ইদিন ফেলে রাখা হয়।

তিনি বলেন, কামারুজ্জামান নির্যাতন কেন্দ্রটি চালাতো। এলাকাটি ছেড়ে চলে যেতে বলার পর তাঁকে ছেড়ে দেয়া হয়, সাথে সাথে তাঁকে এটিও বলা হয় যে, এলাকা ছেড়ে না গেলে তাঁকে হত্যা করা হবে। ৬. প্রাক্তন ছাত্রনেতা ও বর্তমানে জাতীয় পার্টির নেতা এমদাদুল হক হীরা বলেন, কামারুজ্জামানের নির্দেশে পাকিস্তানী সৈন্যরা তার ঘর জ্বালিয়ে দিয়েছিল। তিনি কমিশনে উল্লেখ করেন যে, সৈন্যরা তাঁর ঘরের আঙ্গিনার সামনে পাঁচটি বাঙ্কার স্থাপন করেছিল এবং বন্দীদের হত্যা করার পূর্বে তার আঙ্গিনার সামনে তাদেরকে একটি বড় গাছের সাধে বেঁধে ফেলতো। ৭. শেরপুরের জয় মামুদ কলেজের একজন বর্তমান শিক্ষক এবং প্রত্যক্ষদর্শী মুশফিকুজ্জামান বলেন, মধ্য আগষ্টে কামারুজ্জামানের উপস্থিতি ও নেতৃত্বে তিন আনি বাজার এলাকার ঘরবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাট চালানো হয়।

৮. বন্দীদের এবং মৃতদেহ বহনকারী ট্রাকের চালক হিসেবে কাজ করা একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, কামারুজ্জামান একজন মুক্তিযোদ্ধার ঘর জ্বালিয়ে দিতে পাকিস্তানী সেনাদলকে নির্দেশনা দিয়েছিল। কামারুজ্জামান ঐ এলাকায় ডাকাতদলের নেতৃত্ব দিয়েছিল বলেও অভিযোগ আছে। সূত্র

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.