নমষ্কার!
নমষ্কার! জবাব দিল রেলপথের দিক নির্দেশক।
তুমি এখানে কি করছ? খোকার প্রশ্ন।
আমি হাজার হাজার পথিকের পথ দেখাই। যে রেলগাড়ি তাদের টেনে নিয়ে যায়, আমি তাদের কখনো ডানে কখনো বায়ে দিক নির্দেশ করি।
পাতের উপর স্ফুলিঙ্গ জ্বালিয়ে বজ্রের গর্জনে ভূ-প্রকম্পিত করে বায়ূ বেগে প্রস্থানমান একটা রেলগাড়ি দেখে খোকা বলল:
মনে হয় এদের খুব তাড়া আছে, কিন্তু গন্তব্য কি?
রেলগারির কর্ণদারও তা যানে না।
বিপরিত দিক থেকে একই ভাবে আর একটা রেলগারিকে ছুটে আসতে দেখে খোকা বলল:
তারা আবার ফিরে আসছে।
না এগুলি অন্য যাত্রী। এরা জয়গা বদল করে। রেলপথের দিক নির্দেশক বলল।
কেন? যেখানে তারা ছিল, সেখানে তারা তৃপ্ত ছিল না? খোকার প্রশ্ন।
যার যা আছে, তাই নিয়ে সে কখনই তৃপ্ত নয়। উত্তর দিল রেলপথের দিক নিদের্শক।
আর একটা ট্রেন আগের মতই পাতের উপর স্ফুলিঙ্গ জ্বালিয়ে চলে গেল।
এরা কি আগের লোকগুলির পথ অনুসরণ করছে? খোকার সরল প্রশ্ন।
এরা কিছুই অনুসরণ করে না।
কেউ ঘুমোচ্ছে, কেউবা হাই তুলছে। শুধু ছোটরাই জানালা দিয়ে বাইরের জগৎটা দেখছে। দিক নিদের্শকের জবাব।
খোকা বলল:
শুধু শিশুরাই যানে, তাদের গন্তব্য। বাচ্চারা এক টুকড়ো কাপড়ের তৈরী একটা পুতুলের পেছনে সময় ব্যায় করে।
এবং এটাই এক সময় তাদের কাছে খুব মুল্যবান হয়ে উঠে। সেটা কেউ কেড়ে নিলে চোখের জলে বুক ভাসায়।
শিশুরাই সবচেয়ে সুখী। রেলপথের দিক নিদের্শক বলল।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।