যখন বিকাল হতে থাকে, হতে হতে সূর্যটা ঢলে পড়ে, পড়তে থাকে
হেনরী ও জুন দেখতে দেখতে সময় জ্ঞান হারালাম। ট্রপিক অফ ক্যনসারের বিখ্যাত লেখক হেনরী মিলারের সাথে এনায়েস নিনের ইরোটিক সম্পর্কের জার্নালের উপর নির্ভর করে ছবিটা নির্মিত। নিন নিজেও একজন ভাল লেখক, মিলারের চরম ভক্ত, একসময়ে মিলারের স্ত্রী জুনের সাথেও লেসবিয়ান সম্পর্কে জরিয়ে যায়। একদিন মিলারের সাথে সারা রাত নাইট ক্লাব, গল্প ও আড্ডায় কাটিয়ে আইফেল টাওয়ারের পাশে গিয়ে হাজির হয় সাতসকালে। দুজন প্রভাত উদযাপন করে একটা পিলারের পাশে রতিকর্ম করে।
আশ্চর্য হয়ে খেয়াল করলাম, আমার জানালার পর্দার ওপাশে তখন আলোর ঝলকানি।
ছবিটির একটা অংশে, নিন তার স্বামী হুগোর সাথে সংগম করার সময়ে বলে, ডিয়ার তুমি কি জুনের শরীরে আকৃষ্ট হয়েছো? হুগো বলে, তার শরীর আকর্ষণীয় বটে, তবে ভালবাসি তোমাকেই! চরমতম সময়ে নিন বলে, ডু ইউ ওয়ান্ট টু ফাক হার? হুগো উড়িয়ে দেয়, সে মগ্ন থাকে নিনের শরীরে, কিন্তু সরল হুগো বোঝে না, কেন নিনের এ প্রশ্ন, সে যে এভাবে নিজের ফ্যান্টাসীর জগৎটা উন্মোচন করে ফেলেছে।
আরেকটা দৃশ্যে হেনরী মিলার নিনের সাথে সংগমে অল্পতেই হেরে যায়। সরি বলে ফিরে শোয়। নিন বলে, সরি বলায় দরকার নেই ফাকিং এ।
মিলার ম্লান হয়ে যায়। বলে, আফটার সেক্স আমার এমন সব কথা ভাল লাগে না!
কি ভাল লাগে না! ফাক শব্দটি?
মিলার চুপ করে থাকে।
নিন বলে, সম্ভবত, তুমি ঠিকমত সংগম করতে পারনি বলেই এ শব্দটি এখন অশ্লীল মনে হচ্ছে!
ট্রপিক অফ ক্যানসার নামটা নিনের দেয়া। মিলার যতটুকু লেখে নিনকে দেখায়। দুজনার লেখালেখি নিয়ে মন্তব্য চালায় উভয়েই।
নিন বরাবর প্রশংসা করে থাকে মিলারের প্রতিটি লেখা, বাক্য, শব্দ। একবার নিন তার কয়েকটা লেখা দেখায় মিলারকে। মিলার বসে যায় কাটাঁকুটি করতে। নিন আহত হয়। মিলার বলে, দেখো আমরা ভাল বন্ধু, নিশ্চয়ই দুজনের মধ্যে তেমন বোঝাপড়া থাকবে! তুমি আমার লেখারও সমালোচনা করতে পারো।
ডু দ্যাট। মিলারের কাঁটাকুঁটিতে দুঃখ পেয়ে নিন তখন ফিরে যাচ্ছিল। হঠাৎ করে বলে, তোমার লেখায় যেভাবে নারীকে উপস্থাপন করেছো সেটা নারীর ভগ্ন অংশ, তুমি নারীকে বুঝতে পারোনি এখনও!
এবার মিলার শকড। সে নিজেকে ডিফেন্ড করার জোরালো যুক্তি পায়না খুঁজে।
জুন ও নিনও পরস্পরকে ভালবাসে।
নিন মিলারকেও ভালবাসে। নিনের কাছে মনে হয় মিলারের সাথে তার শারিরীক সম্পর্কের বিষয়ে জুনের সম্মতি থাকবে। একবার কথা প্রসংগে নিন বলে ফেলে মিলারের সাথে সে শুয়েছে। জুন এটা আশা করেনি। তার কাছে মনে হয়, লেখকরা আসলে ভিন্ন প্রকৃতির।
শুধু অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ের জন্য ভালোবাসার ভান করে, আসলে কাউকে ভালবাসে না। লেখক কেবল ভালবাসে তার লেখা।
জুনের কাছে মিলার ও নিন দুজনকেই সমান প্রতারক মনে হয়। মনে হতে থাকে লেখক আসলে সাধারণ মানুষ নয়।
অদ্ভুত লেগেছে ছবিটি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।