সময়... অনাদি... হতে... অনন্তের... পথে...
পর্যটক ও দর্শনার্থীদের আকৃষ্ট করতে লাউয়াছড়া ন্যাশনাল পার্কের ১২৫০ হেক্টর পাহাড়ি এলাকার বিভিন্ন স্থানে টেইল রোড করেছে নিসর্গ প্রকল্প। বাঘমারা কম্প হইতে হরতকির তল হয়ে লাউয়াছড়া রেস্ট হাউস পর্যন্ত ট্রেইল রোডের দু’পাশে সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য বন বিভাগের সহযোগিতায় ৬ লাখ টাকা ব্যয়ে এনরিচমেন্ট প্লাটটেশন কার্যক্রম হাতে নেয় নিসর্গ।
অভিযোগ রয়েছে হাতে গুনা কয়েকটি বৃক্ষ চারা লাগিয়ে এ কার্যক্রমের সমূহ অর্থ আত্মসাত করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
নানা বাহারি বৃরে সমারোহ আর মূল্যবান বৃক্ষরাজিতে ঢাকা কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া ন্যাশনাল পার্কের গহিন অরণ্যে প্রবেশের রয়েছে বেশ কয়টি রাস্তা। এ রাস্তার পাশাপাশি পর্যটক ও দর্শনার্থীদের পথ ভ্রমনের সুবিধার্থেê নতুন নতুন কিছু রাস্তা তৈরি করে নিসর্গ।
নিসর্গের ভাষায় এই রাস্তা হল ট্রেইল রোড।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এই রোডের বাঘমারা ক্যম্প হইতে হরতকির তল হয়ে লাউয়াছড়া রেস্ট হাউস পর্যন্ত ট্রেইল রোডের দু’পাশে ফলজ বৃ চারা লাগানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় গত জুন মাসে। ১শত হেক্টর এনরিচমেন্ট প্লান্টটেশনের আওতায় হেক্টর প্রতি ৩৬০টি চারা লাগানোর সিদ্ধান্ত হয়। এ হিসাবে ওই এলাকার ১শত হেক্টরে ৩৬ হাজার চারা লাগানোর কথা। প্রতি চারা প্রতি খরচ ধরা হয় ১৫ টাকা ৩৭ পয়সা।
এ হিসাবে এর ব্যয় দাঁড়ায় প্রায় ৬ লাখ টাকা। প্রথমে এনরিচমেন্ট প্লান্টটেশনের এ কাজ দেওয়া হয় নিসর্গ টহল দলের সদস্যদের। তারা প্রায় হাজার তিন এক চারা লাগানোরা পর বাধ সাধে বনবিভাগ। বন বিভাগের দাবী তারা এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবে। এ নিয়ে নিসর্গের সাথে চলে বন বিভাগের ঠান্ডা লড়াই।
অবশেষে এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যৌথভাবে নিসর্গ ও বন বিভাগ। চারা রোপনের নামে চলে হরিলুট। নিসর্গ ও বন বিভাগ যৌথভাবে বাস্তবায়িত এ কর্যক্রমে ব্যাপক দূর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠলে গঠন করা হয় ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি। নিসর্গের কো-ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য আনন্দ মোহন সিংহকে প্রধান করে গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্ট আজও আলোর মুখ দেখেনি। সরেজমিন দেখা যায়, এ কার্যক্রমের অধীনে ১শত হেক্টরের ট্রেইল রোডের দু’পাশে ফলজ ও বনজ বৃরে চারা লাগানোর কথা থাকলেও পাহাড়ে গজিয়ে উঠা ন্যাচারেল ডুংরা, গুল্লি, জাগরুয়া ও জাম নামীয় গাছের চারার সাথে ছোট ছোট বাঁশ বাধা রয়েছে।
ফলজ ও বনজ বৃরে নামে ন্যাচারেল এ চারার বর্তমানে অস্তিত্বই নেই। পড়ে আছে চারার সাথে বাঁধা ছোট ছোট বাঁশের খুটিগুলো। স্থানীয়রা জানান, কোন ধরণের চারা না লাগিয়েই এনরিচমেন্ট প্লান্টটেশনের সমূহ অর্থ তুলে আত্মসাত করেছেন সংশ্লিষ্টরা। এ প্রসঙ্গে নিসর্গ কো-ম্যানেজমেন্ট কমিটির সভাপতি- অধ্যাপক রফিকুর রহমান বলেন, কত টাকা বাজেট ধরা হয়েছিল তা জানা নেই, তবে সঠিক ভাবেই এই এনরিচমেন্ট প্লান্টটেশনে চারা লাগানো হয়েছে। এখানে লুটপাটের কোন সুযোগ নেই।
তবে তদন্ত কমিটির রিপোর্ট প্রকাশ না পাওয়া প্রসঙ্গে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।