আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সন্ত্রাসবাদ নিয়ে বিশ্ব রিপোর্টে বাংলাদেশ:

বাংলাদেশ নিয়ে ভাবনা, প্রত্যাশা ও সম্ভাবনার সংগ্রহমালা

সপ্তাহ দু'য়েক আগে মার্কিন যুক্তরাস্টের স্টেট ডিপার্টমেন্ট সন্ত্রাসবাদ নিয়ে তাদের বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশে মৌলবাদের বিস্তার ও প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি জঙ্গীবাদ যে যথেস্ট শক্তি অর্জন করেছে তা দেশের গত ক'বছরের ঘটনাগুলো দেখলে বেশ স্পস্ট হয়ে উঠে। জেএমবি'র সাথে জামাতের সম্পর্ক নিয়ে প্রতিবেদন বিভিন্ন সময়ে পত্র-পত্রিকায় উঠেছে। জঙ্গী সন্ত্রাসীদের প্রতিরোধে সরকার কঠোর পদক্ষেপ নিলেও তাদের কর্মকান্ড যে বন্ধ হয়নি, তা সাম্প্রতিক কার্যক্রমে স্পস্ট হয়ে উঠে। আড্ডায় সন্ত্রাসবাদ নিয়ে বার্ষিক প্রতিবেদন ২০০৫ নিয়ে আলোচনা করেছিলাম।

সেই তুলনায় এ বছরের প্রতিবেদনে গুণগত তেমন পরিবর্তন না আসলেও সন্ত্রাসীদের টাকা পাচার নিয়ে মার্কিন উতকন্ঠা প্রতিবেদনটিতে ফুটে উঠেছে। এ ব্যাপারে মার্কিন সরকারের কারিগরি সাহায্য ও সহযোগিতার কথা বলা হয়েছে। ২০০৬ সালে জেএমবির ততপরতা লক্ষ্য করা না গেলেও তাদের আক্রমনে যে ততকালীন বিরোধী দল আওয়ামী লীগ আক্রান্ত হয়েছে তার কথা রিপোর্টটির প্রথম ভাগ জুড়ে আছে। জেএমবির জঙ্গী কর্মকান্ডের অর্থায়নে অর্থ পাচার বিধিমালা ভঙ্গ করার কারণে ইসলামী ব্যাংককে বাংলাদেশ ব্যাংক যে জরিমানা করেছে তার উল্লেখ রিপোর্টটিতে রয়েছে। আর ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা বোর্ডের সাথে জোট সরকারের অংশ জামাতীদের নেতারা জড়িত তা আবারও বলা হয়।

সন্ত্রাসবাদ নিয়ে সদ্য প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে বলা হয়, The Government of Bangladesh stated that it intended to close permanently the local office of the radical Kuwait-based Revival of Islamic Heritage Society, but has yet to do so. The Central Bank of Bangladesh fined Islami Bank for violating anti-money laundering laws in connection with possible financing of JMB activities. Islami Bank has a number of board members who are associated with the Jamaat Islami Party, a member of the ruling coalition. প্রশ্ন হচ্ছে জেএমবি সহ মৌলবাদী জামাতীদের বিরুদ্ধে সরকার কি ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে? ছয়জনকে ফাঁসী আর তাদেরকে বিচ্ছিন্নভাবে ধরলে যে সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করা যাবে না তা স্পস্ট। জঙ্গীদের শেকড় হচ্ছে মৌলবাদ। সন্ত্রাসবাদকে রুখতে হলে মৌলবাদকে প্রতিহত করতে হবে। এ নিয়ে প্রায় দু'বছর আগেবিবিসিতে এক আলোচনায় খুব স্পস্টভাবেই বলেছিলাম, "গণঘাতক সন্ত্রাসী জামাতীদের সাথে জোট বেঁধেই জোট সরকার সন্ত্রাসবাদকে উতসাহ দিয়েছে"। এখন ফেলে যাওয়া এই আবর্জনা পরিস্কারের গুরু দায়িত্ব আমাদের সবার।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.