সবাইকে আমার নিজস্ব ব্লগ ভিজিট করার আমন্ত্রন রইলঃ www.islameraalo.wordpress.com
কেনিয়াতে একটা শপিং মলে কিছু সন্ত্রাসবাদী ঢুকে অনেক মানুষকে বন্দি করে ফেলেছে। এখন পর্যন্ত ৬৯ জন মারা গেছেন। কাল পাকিস্থানের একটি গির্জাতে হামলা হয়েছে মারা গেছেন প্রায় ৪০ জনেরও বেশি। অনেক শিশু, নারী, বৃদ্ধ ঘায়েল হয়েছেন। কেনিয়ার ঘটনাটা কে করেছে জানিনা কিন্তু পাকিস্থানে গীর্জার বিস্ফোরনের কথা একটা মুসলিম(?) সংগঠন দায় স্বীকার করেছে।
মাঝে মাঝে সিনেমা বা ডকুমেন্টারী দেখে আমি ভয় পেয়ে যায় ভাবি আমিও যদি এমন কোন সন্ত্রাসবাদী হামলার শিকার হয় কিংবা আমার পরিবারের কেউ তবে যারা একাজ করেছে তাদের কি কখনো ক্ষমা করতে পারবো? নাহ কখনো পারবো না। তারা যতই দাড়িওয়ালা, তাবিজ পড়া বা টুপি পড়া লোক হোক। বরং তাদের কুকুরপেটা করে মারতেও পেছপা হবো না। কেউ আবার ভাব্বেন না আমি সন্ত্রাসবাদী বলতে মুসলিমদেরই বুঝি। পৃথিবীতে যত সন্ত্রাসবাদী হামলা হয় তার ১০% এরও কম মুসলিমদের দ্বারা সংঘটিত হয়।
তবে আমি যেহেতু মুসলিম তাই মুসলিম জঙ্গির উদাহরন দিলাম। এই জঙ্গিরা নিজেদের মুসলিম বলে, ভাবে ধর্মের কাজ করছি অথচ ধর্ম সম্পর্কে এদের স্বচ্ছ ধারনা নেই বললেই চলে। সারা পৃথিবী জুড়ে উলামারা সন্ত্রাস বিরোধী ফতোয়া দিচ্ছেন অথচ এরা অনড় তাদের সিদ্ধান্তে। সন্ত্রাস ছড়িয়েই নাকি ইসলাম আর মুসলিমদের উপকার হবে। এই মাথামোটা মানুষেরা একবারও ভেবে দেখেনা তাদের এই কুকর্মের জন্য সারা বিশ্বের মুসলিমদের কত সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়।
এরা এটা বুঝেনা পেশাব দিয়ে পায়খানা পরিস্কার করলে কখনও পবিত্র হওয়া যায়না। জঙ্গি সংগঠন, এখানে ওখানে হামলা, নিরিহ মানুষ মারা এসবের প্রায় ২০ বছর হয়ে গেল। এই কুড়ি বছরে হাজারো লোক মরেছে, লক্ষ্য লোকের জীবন উজার হয়েছে, কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে। এখন ভাবার সময় এসেছে জঙ্গি সংগঠন গুলোর, এত কিছু করে ইসলামের কি উপকার হয়েছে? কি উপকার হয়েছে মুসলিমদের? নিসন্দেহে বলা যায় উপকারের থেকে ক্ষতির পাল্লা অনেক বেশি ভারি হবে।
◆☛ ..যে ব্যক্তি কোন হত্যার বিনিময় ব্যতীত কাউকে হত্যা করল অথবা সন্ত্রাস সৃষ্টি করল সে যেন সমগ্র মানব জাতিকেই হত্যা করল।
আর যে একটা প্রাণকে বাঁচাল সে যেন সমগ্র মানবজাতিকে বাঁচাল। (সূরা, মায়েদা)
◆☛ ‘‘যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে কোন বিশ্বাসীকে হত্যা করবে, তার পরিণতি হবে জাহান্নাম। সেখানে সে চিরকাল অবস্থান করবে। আল্লাহ্ তার ওপর ক্রুদ্ধ হন, অভিসম্পাতণ করেন এবং তার জন্য ভয়ংকর আযাব প্রস্ত্তত করে রেখেছেন। (সূরা আননিসাঃ ৯৩)
◆☛ রাসুল সা. বলেছেন, ‘যে কোন অমুসলিমকে (অকারণে) হত্যা করবে সে জন্নাতের সুঘ্রাণও পাবেনা।
অথচ জান্নাতের সুঘ্রাণ ৪০ বছরের দুরুত্ব থেকেও পাওয়া যাবে’
এই সকল জঙ্গিরা পরিস্কারভাবে কুরান এবং হাদিসের নির্দেশ গুলোকে অমান্য করে চলে। আর সন্ত্রাস ছড়িয়ে আর লোক মেরেই মনে করে ইসলাম প্রতিষ্ঠা হবে। এই গন্ডমুর্খদের এইটুকু জ্ঞান নেই ইসলাম প্রতিষ্ঠা করতে হবে রাসুল সা. ও সাহাবাদের দেখানো পথেই নয়লে যতই চেষ্টা করা হোক কখনোই সফল হওয়া যাবেনা। আর উনাঁরা এই কাজ করছেন সুন্দর ব্যবহারের মাধ্যমে, সুন্দর কথা বলে ভয় দেখিয়ে নয়, নিরিহ মানুষ মেরে নয়। যেসকল লোক ইসলামের কথা বলে অথচ রাসুল সা. কিংবা সাহাবাদের আদর্শকে মানে না তারা কেমন মুসলমান আর কেমন ইসলামের কথা বলে আমি বুঝতে পারিনা।
◆◆ মহানবী সা• তাঁর দশ বছরের সামরিক জীবনে প্রায় ৩০ লাখ বর্গ কিলোমিটার এলাকা ইসলামী সালতানাতের অন্তর্ভুক্ত করেছেন। অথচ এই বিশাল এলাকা জয় করতে সকল যুদ্ধে মুসলমানরা সর্বমোট ২৫১ জন কাফির সৈন্য হত্যা করেছেন। আর মুসলমানদের মধ্যে শাহাদাত বরণ করেছেন সর্বোচ্চ ১২০ জন। পৃথিবীর শুরু থেকে নিয়ে আজ পর্যন্ত ঘটে যাওয়া অনৈসলামিক যুদ্ধ-বিগ্রহের ইতিহাস তন্ন তন্ন করে খুজলেও এত বিশাল এলাকা বিজয়ের জন্য এত কম সংখ্যক প্রাণহাণীর অন্য কোন নযীর খুঁজে পাওয়া যাবে না।
অথচ আজকের তথাকথিত মুসলিম দরদি, ইসলাম দরদি সন্ত্রাসীরা কি করছে? কত লোক মেরেছে আর কতজনের কাছে ইসলাম পৌছাতে পেরেছে? আহমেদ দীদাত, জাকির নাইক, ইউসুফ কারজাই, তারিক রামাদান, হামজা জার্জিস, হারুন ইহ্যায়া এরা ইসলামের সঠিকসেবা করছেন নাকি সন্ত্রাসীরা? কাদের দ্বারা ইসলাম প্রতিষ্ঠা সম্ভব।
এই গন্ডমুর্খ সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে মুসলিমদের ক্ষতি করে চলেছে অথচ নিজেদের জিহাদী বলছে। হায়রে!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।