মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর, আসবাব লুট ও আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আজ সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে এই ঘটনা ঘটে। গাংনী পৌর মেয়র আওয়ামী লীগের নেতা আহম্মদ আলীর নেতৃত্বে এ হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মেয়র এই অভিযোগের সত্যতা স্বীকারও করেছেন। মেয়র বলেছেন, ‘জঞ্জাল সাফ করতেই’ তিনি এ হামলা চালিয়েছেন।
মেয়র ঘোষণা দিয়েছেন, কার্যালয় খুললে তিনি আবার হামলা চালাবেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে আহম্মদ আলীর নেতৃত্বে ৫০-৬০ জনের একটি দল লাঠিমিছিল নিয়ে বিএনপির কার্যালয়ে হামলা চালায়। এই সময় কার্যালয় বন্ধ ছিল। হামলাকারীরা কার্যালয়ের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে টেলিভিশনসহ আসবাব ভাঙচুর ও কাগজপত্র লুটপাট করে। এরপর তারা বিএনপি কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।
এ সময় সশস্ত্র অবস্থায় হামলাকারীরা বাইরে অবস্থান নেওয়ায় ভয়ে হামলার ছবি তুলতে ও দলীয় অফিস রক্ষায় কেউ এগিয়ে যেতে পারেননি।
মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনের সাংসদ ও জেলা বিএনপির সভাপতি আমজাদ হোসেন প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, তিনি কিছু সালিশি কাজ সম্পন্ন করে কার্যালয় বন্ধ করে বাড়ি ফিরলে এই হামলা ঘটনা ঘটে। পৌর মেয়রের নেতৃত্বে গাংনীর মজিরুল বাহিনীর সদস্যরা (এ বাহিনী বিরুদ্ধে টিআর, কাবিখা নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ আছে) মিছিলসহ এই হামলা চালায়। তারা দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর শেষে দলের চেয়ারপারসন ও দলের প্রতিষ্ঠাতার ছবিসহ কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। হামলাকারীরা চলে যাওয়ার পর এলাকার লোকজন আগুন নিভিয়ে ফেলেন।
গাংনী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফারুকুল ইসলাম জানান, গাংনী পৌর মেয়রের নেতৃত্বে এই হামলা ঘটনা ঘটে। হামলায় কিছু আসবাব ভাঙচুর ও আগুনে আংশিক ক্ষতি হয়েছে। একটি সালিশির বিচার অপছন্দ হওয়ায় এই ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিভায় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ব্যাপারে গাংনী পৌর মেয়র আহম্মদ আলী পরে গাংনী হাসপাতাল বাজারে সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা দেন গাংনী উপজেলা বিএনপির কার্যালয় থেকে অস্ত্র সরবরাহ করা হয়।
অস্ত্রধারীরা সেখান থেকে বিভিন্ন সময়ে সাধারণ মানুষের ওপর হামলা চালায়। তাই তিনি নিজেই বিএনপির কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন। জঞ্জাল সাফ করতেই এ হামলা চালিয়েছেন। তিনি এই কার্যালয় আর খুলতে দেবেন না। খুললে আবার হামলা চালাবেন বলে ঘোষণা দেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।