শেখ হাসিনা জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিলেন। গতানুগতিক এবং উত্তেজনাবিহীন। দলীয় কিছু লোক ছাড়া কেউ মনে হয় না খুব আগ্রহ নিয়ে শুনেছেন। তার কারন খুব যৌক্তিক - এদেশের রাজনীতিবিদরা কি বলতে পারে তা মোটামুটি সবাই জানে। নতুন কিছু বলা তাঁদের পক্ষে সম্ভব নয়।
হ্যাঁ, আমরা যা ভেবেছিলাম উনি তাই বলেছেন - যুদ্ধাপরাধী প্রসঙ্গ, সরকারের সাফল্য আর বিরোধীদলের সমালোচনা, তেমন উল্লেখযোগ্য কোন ব্যর্থতা নেই চার বছরে... এসবই। নতুন কিছু নয়। নতুন কোন আশা বা স্বপ্ন নয়। দেশবাসীকে সাবধান থাকতে বলেছেন বিভিন্ন ধরণের চক্রান্ত থেকে - বরাবরের মতই। মাঝে মাঝে মনে হয় মহাকালে এই কথাগুলো প্রতিধ্বনিত হতে হতেই আমাদের জীবন ফুরিয়ে আসবে।
এ যেন কুমিরের সেই খাঁজকাটার গল্প। যে রচনাই আপনি ছাত্রটিকে লিখতে দিন না কেন সে ঘুরে ফিরে কুমিরের প্রসঙ্গে চলে আসবে...এরপর বলতে থাকবে, " সেই কুমিরের ত্বক ছিল খাঁজকাটা খাঁজকাটা খাঁজকাটা " ...রচনা আর শেষ হবে না, খাতার শেষ অব্দি লেখা থাকবে ' খাঁজকাটা '।
একটা বাচ্চা শিশুও সম্ভবত প্রতিদিন একই রকম কথা বলতে চাইবে না। আমাদের সরকার জনগণকেই হয়তো বাচ্চা ভাবে। বিশ্বজিৎ-কে চাপাতি দিয়ে মারলেও রক্ত তাই বের হয় না কিংবা মাত্র চারটি পত্রিকা সরকারী অফিসে রাখার সিদ্ধান্ত হয়ত এই জন্যেই যেন অন্য পত্রিকা পড়ে বাচ্চারা নষ্ট হয়ে না যায়।
শেখ হাসিনা একজন শিক্ষিত প্রধানমন্ত্রী - তাঁর কাছে আমরা প্রথমে ভুল-ত্রুটি স্বীকার করে নিয়ে এরপর বিনয়ীভাবে সাফল্যের গল্প আশা করি। অন্য আট-দশটা সুশিক্ষিত মানুষের মতই।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা একটা বড় কাজ, একথা নিঃসন্দেহে সত্যি - কিন্তু এই কাজটাও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মনে হবে সাধারণ জনগণের কাছে যদি সরকার অন্য ইস্যুগুলিতে চরম ব্যর্থতার পরিচয় মুছতে না পারে। সেজন্যে সময়ও কিন্তু অনেক কম ! ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।