যুদ্ধাপরাধ প্রসঙ্গে ব্রিটেন মুখ খোলার আগেই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে শ্রীলঙ্কা। ২০০৯ সালে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ নিয়ে কোনো প্রশ্ন না তুলতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনকে হুঁশিয়ার করেছে দেশটির সরকার। কমনওয়েলথ দেশগুলোর সরকারপ্রধানদের সম্মেলন আজ শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোয় শুরু হচ্ছে। এদিকে সম্মেলন বয়কট করার আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। বরং শ্রীলঙ্কার মানবাধিকার রেকর্ড নিয়ে প্রশ্ন তুলতে সম্মেলনে উপস্থিত হতে চাচ্ছেন তিনি। কিন্তু শ্রীলঙ্কা সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ নিয়ে কোনো প্রশ্ন তোলার অধিকার ক্যামেরনের নেই। কারণ তাকে এ প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বলার জন্য সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যেই কানাডা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী কমনওয়েলথ সম্মেলন বয়কট করেছেন। কিন্তু এ আহ্বানে সাড়া দেননি ক্যামেরন। অন্যদিকে সমালোচকরা বলছেন, শ্রীলঙ্কা সরকারের সঙ্গে কোনোরকম ওঠাবসা মানে তাদের সঙ্গে সহযোগী হিসেবে কাজ করারই নামান্তর। অবশ্য ক্যামেরনের যুক্তি, সম্মেলনে যোগ দিলে অন্তত মানবাধিকারের বিষয়টি কিছুটা সামনে নিয়ে আসার সুযোগ সৃষ্টি হবে। শ্রীলঙ্কায় গৃহযুদ্ধের সময় সংঘটিত যুদ্ধাপরাধ সম্পর্কে গুরুতর কিছু প্রশ্নের উত্তর দেশটিকে দিতে হবে বলেও দাবি করেন তিনি। কিন্তু তার এ কথায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে শ্রীলঙ্কা বলেছে, তারা সার্বভৌম দেশ। তাদের কাছে কেউ কোনো দাবি জানালেই কি সব হয়ে যাবে? শ্রীলঙ্কার গণমাধ্যম ও যোগাযোগমন্ত্রী কেহেলিয়া রাম্বুকওয়ালা গণমাধ্যমকে বলেন, 'আমরা কোনো কলোনি নই। আমরা স্বাধীন রাষ্ট্র'। তবে এই প্রসঙ্গে কিছুটা শিথিলভাব দেখিয়েছেন প্রেসিডেন্ট মাহিন্দ্র রাজাপক্ষে। তিনি বলেন, তার দেশের বিরুদ্ধে উত্থাপিত যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ খণ্ডনে তিনি প্রস্তুত রয়েছেন। তিনি আরও বলেন, মানবাধিকার প্রশ্নে লুকাবার কিছু নেই। বিবিসি, এএফপি।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।