ইউক্রেনে আন্দোলনকারীরা গতকাল রোববার রাজধানী কেভের রাজপথে প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ইয়ানুকোভিেসর পদত্যাগের দাবিতে অবস্থান নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আজ সোমবার বিবিসি অনলাইনের খবরে বলা হয়, বিক্ষোভকারীরা গতকাল রাতে ইন্ডিপেন্ডেন্টস স্কয়ারে অবস্থান করেন ও অনেকে সিটি হল ঘেরাও করে রাখেন।
বিক্ষোভকারীরা রাজধানীতে সরকার-বিরোধী সমাবেশ করেন ও সিটি হলে হামলা চালায়। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে রাশিয়ার বিরোধীদলীয় কর্মী পিয়োতর ভারজিলভ জানান, এ সময় রাজধানী কিভ ও ইউক্রেনের অন্যান্য অঞ্চল থেকে আসা বিক্ষোভকারীরা সিটি হল ভবনের ভেতরে অবস্থান করছেন। আন্দোলনকারীরা মুহূর্তের মধ্যে সিটি হলকে তাদের প্রধান কার্যালয় বানিয়ে ফেলেন বলে তিনি জানান।
এছাড়াও গতকাল রাষ্ট্রপতি ভবনের পাশে সংঘর্ষ হয়। মুখোশধারী বিক্ষোভকারীরা অগ্নিসংযোগ করলে পুলিশ তাদের টিয়ার গ্যাস,স্টান গ্রেনেড ছুড়েন ও লাঠি চার্জ করেন। প্রায় দশ-বারোজন বিক্ষোভকারী এতে আহত হন। রাজধানী কেভের পুলিশ জানান, প্রায় একশো জন পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। ইয়ানুকোভিত্স প্রধান কার্যালয়ের কাছে বুলডোজার চালিয়ে পুলিশ ফাড়ি ভেঙ্গে ঢোকার চেষ্টা করেন।
বিরোধীদলীয় নেতারা দেশজুড়ে অবরোধ ডাকেন ও সরকার পতনের দাবিতে রাস্তায় বিক্ষোভ চালান।
এদিকে দেশটির স্পিকার ভ্লদিমির রিবাক বলেন, আজ সোমবার সরকার বিরোধী দলের সঙ্গে বৈঠকে বসতে পারে। তিনি বলেন,বৈঠকে সব দলকে মতামত জানানোর সুযোগ দেওয়া হবে।
গত শনিবার প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ইয়ানুকোভিত্স ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইউ) একটি বাণিজ্যিক চুক্তি সই করতে অস্বীকৃতি জানালে দেশজুড়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। ২০০৪ সালের অরেঞ্জ বিপ্লবের পর এটিকেই রাজপথে ইউক্রেনের সবচেয়ে বড় গণ আন্দোলন হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।