পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি জেন সাকি বলেন, “আমরা ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বিবেচনা করছি…. যার মধ্যে নিষেধাজ্ঞাও রয়েছে। যদিও আমি এখনই বিষয়টি স্পষ্ট করে বলতে চাইছি না। “
রাজধানী কিয়েভ থেকে সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের সরাতে দাঙ্গা পুলিশ যে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে সেটা যুক্তরাষ্ট্রের মোটেও পছন্দ করছে না বলে বিবিসি জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র বেসামরিক মানুষের বিরুদ্ধে অস্ত্র ব্যবহার না করার জন্য ইউক্রেন সরকারকে সতর্ক করে দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা জানান, ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পাভলো লিয়েবেদভ বলেছেন তার সরকার বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করবে না।
লিয়েবেদভের সঙ্গে টেলিফোনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী চাক হেগেলের কথা হয়েছে বলে জানান যুক্তরাষ্ট্রের একজন মুখপাত্র। তিনি বলেন, বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে সেনাবাহিনীর ব্যবহার কি ধরণের সম্ভাব্য ক্ষতি ডেকে আনতে পারে সে ব্যাপারটি হেগেল বেশ গুরুত্বের সঙ্গে আলোচনা করেছেন।
কিয়েভের কেন্দ্রস্থলে কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা এই বিক্ষোভ-সমাবেশের কারণে ৪ কোটি ৬০ লাখ অধিবাসীর দেশটি প্রায় অচল হয়ে পড়েছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের বৈদেশিক নীতির প্রধান ক্যাথেরিন অ্যাস্টন ও যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড বুধবার কিয়েভে গেছেন। তারা বিক্ষোভকারী ও প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ইয়ানুকোভিচের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাত করেন।
এর আগে বুধবার ভোররাতের দিকে প্রধান প্রতিবাদ শিবির স্বাধীনতা চত্ত্বর (ইনডিপেনডেন্স স্কয়ার) থেকে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিতে অভিযান চালায় পুলিশ। তারা সেখান থেকে ব্যারিকেড ও তাঁবু সরিয়ে ফেলে। পুলিশের দাবি স্বাধীনতা চত্ত্বরের আশেপাশের রাস্তার যানজট কমাতে তারা এটা করেছে।
এদিকে এই রাজনৈতিক সমস্যা সমাধানে আলোচনার জন্য প্রেসিডেন্ট ইয়ানুকোভিচ আবারো সব দল যাদের মধ্যে বিরোধী দলও রয়েছে তাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
নিজের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে প্রেসিডেন্ট বলেন, “প্রতিরোধ ও চরমপন্থার পথ বেছে না নিয়ে আপসের উপায় খুঁজে বের করতে আমি আলোচনার যে প্রস্তাব দিয়েছিলাম তা এখনো বহাল আছে।
“
শান্তিপূর্ণ প্রতিরোধের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষ কখনোই জোর খাটাবে না বলেও নিশ্চিত করেন তিনি।
যদিও বিরোধী দলের নেতা ওলেস্কান্দর তুরচিনোভ বলেন, “গোলটেবিল বৈঠকের পরও আমরা কি পেয়েছিলাম। কর্তৃপক্ষ আমাদের খাদের কিনারায় নিয়ে গেছে। “
গত মাসে ইউক্রেন সরকার ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে চুক্তি সই করতে অস্বীকৃতি জানালে দেশটিতে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়। রাশিয়ার চাপে ইউক্রেন সরকার এটা করেছে বলে জনশ্রুতি রয়েছে।
নিজে দেশের ওপর রাশিয়ার এই প্রভাব কমাতে দেশটির অধিবাসীরা বিক্ষোভ শুরু করে।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী মিকোলা আজারভ বুধবার বলেন, চুক্তিতে সই করার পরিবর্তে ইউক্রেন ইইউ এর কাছে সাহায্য হিসেবে ২০ বিলিয়ন ইউরো চেয়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।