বিতর্কিত ক্রিমিয়া উপদ্বীপের একটি বিমান ঘাঁটির দখল নিয়েছে রাশিয়ার সেনাবাহিনী। এর মাধ্যমে রাশিয়ায় সদ্য একীভূত হয়ে যাওয়া প্রজাতন্ত্র ক্রিমিয়ায় ইউক্রেনের সর্বশেষ শক্তিশালী সামরিক ঘাঁটির পতন হলো।
শনিবার শেষ বেলায় ক্রিমিয়ার বন্দরনগরী সেভাস্তোপোলের ঠিক বাইরে অবস্থিত বেলবেক বিমান ঘাঁটিতে বন্দুকের গুলি ও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। এর আগে ওই ঘাঁটিতে মোতায়েন ইউক্রেনের সেনাদের আত্মসমর্পনের জন্য রুশ বাহিনীর বেধে দেয়া সময় শেষ হয়ে যায়। রুশ বাহিনী ঘাঁটিটি ঘিরে ফেলার পর ওই সময়সীমা বেধে দিয়েছিল।
ফলে রাশিয়ার ট্যাংক ও সাঁজোয়া যান ঘাঁটির মূল ফটক ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়ে। বেলবেক বিমান ঘাঁটির কমান্ডার কর্নেল জুলি ম্যামচুর জানিয়েছেন, রুশ বাহিনীর পক্ষ থেকে ওই ঘাঁটির দখল নেয়ার ঘটনায় ইউক্রেনের এক সেনা আহত হয়েছে। ক্রিমিয়ায় অনুষ্ঠিত এক গণভোটের জের ধরে প্রজাতন্ত্রটি রাশিয়ার সঙ্গে একীভূত হয়ে যাওয়ার পরও সেখানকার যেসব সেনা ঘাঁটি ইউক্রেনের দখলে ছিল বেলবেক সেগুলোর অন্যতম।
এর আগে শনিবার রুশপন্থী বিক্ষোভকারীরা ক্রিমিয়ার পশ্চিমাঞ্চলে ইউক্রেনের আরেকটি সেনা ঘাঁটিতে হানা দিয়ে ইউক্রেনের সেনাদের বের করে দেয়। পরে বিক্ষোভকারীরা সেখান থেকে ইউক্রেনের পতাকা নামিয়ে রুশ পতাকা ওড়ায়।
নোভোফেদোরিভকা শহরের ওই ঘাঁটিতে ঢুকে পড়ার আগে বিক্ষোভকারীরা এটিকে লক্ষ্য করে হাতে তৈরি বোমা নিক্ষেপ করে।
এ ছাড়াও রুশপন্থী মিছিলকারীরা ক্রিমিয়ায় নোঙ্গর করা ইউক্রেনের বহু যুদ্ধজাহাজে রুশ পতাকা উড়িয়েছে। গত ১৬ মার্চ অনুষ্ঠিত এক গণভোটের জের ধরে ক্রিমিয়া সম্প্রতি আনুষ্ঠানিকভাবে রাশিয়ায় যোগ দিয়েছে।
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।