ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের ওপর ব্যাপক দমননীতিতে সমর্থন দেওয়ার অভিযোগে দেশটির ২০ জন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে ইউক্রেনের এই ২০ কর্মকর্তার নাম প্রকাশ করেননি তিনি।
গতকাল বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের একজন কূটনীতিক এ তথ্য জানান। আজ বৃহস্পতিবার এএফপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
মার্কিন ওই কূটনীতিক কয়েকজন সাংবাদিককে বলেন, ওয়াশিংটনে ভ্রমণের ক্ষেত্রে ইউক্রেনের ওই কর্মকর্তাদের ভিসা দেওয়া হবে না।
ইউক্রেনে রাজনৈতিক দমন-পীড়ন নীতির মধ্য দিয়ে এসব কর্মকর্তা এই সংঘর্ষে সহযোগিতা করেছেন বা অন্যদের নির্দেশ দিয়েছেন বা মানবাধিকারের লঙ্ঘন ঘটিয়েছেন।
গতকালও কিয়েভে সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারী ও পুলিশের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। শহরটিতে গত মঙ্গলবার থেকে সহিংসতায় এ পর্যন্ত ২৬ জন প্রাণ হারিয়েছে। সেখানে তিন মাস আগে বিক্ষোভ শুরুর পর এটিই সবচেয়ে ভয়াবহ ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
রাশিয়া নাকি পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে ভবিষ্যৎ মৈত্রী স্থাপন- মূলত এ বিষয় নিয়ে ইউক্রেনে বিভক্তি দেখা দিয়েছে।
প্রেসিডেন্ট ইয়ানুকোভিচ এখনো রাশিয়ার প্রতি আস্থা রাখছেন। ইইউর সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষরের প্রস্তাব ইয়ানুকোভিচ প্রত্যাখ্যান করায় গত নভেম্বরে দেশটিতে সরকারবিরোধী আন্দোলন তুঙ্গে ওঠে। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত দেশ ইউক্রেন এখনো অর্থনৈতিকভাবে রাশিয়ার ওপর অনেকটা নির্ভরশীল।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।