থাইল্যান্ডের সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীরা রাজধানী ব্যাংকক 'অচল' করে দেওয়ার আজ কর্মসূচিকে সামনে রেখে গতকাল জমায়েত হতে শুরু করেছে। সরকার পতন ও ২ ফেব্রুয়ারির মধ্যবর্তী নির্বাচন প্রতিরোধের জন্য বিক্ষোভকারীরা আন্দোলন চালিয়ে আসছে। সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীরা থাই প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রা ও তার ভাই ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার বিরুদ্ধে কয়েক সপ্তাহ ধরে বিক্ষোভ চালিয়ে আসছে। এতে দেশটিতে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা শুরু হয়েছে এবং সরকার ২ ফেব্রুয়ারি মধ্যবর্তী নির্বাচন দিতে বাধ্য হয়েছে। নির্বাচন প্রতিহত করতে বিক্ষোভকারীরা ব্যাংককের রাজধানীতে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। তারা সোমবার নগরীর সাতটি স্থানে যান চলাচল রোধ করবে। বিক্ষোভকারীরা দেশ পরিচালনায় একটি 'পিপলস কাউন্সিল' নিয়োগ করতে চাচ্ছে। বিরোধী ডেমোক্রেটিক পার্টির সাবেক এমপি ও বিক্ষোকারীদের নেতা সুথেপ থাউগসুবান এই কর্মসূচিতে বিপুল জনসমাগম হবে বলে আশা করছেন। তিনি শনিবার রাতে এক সমাবেশে বলেন, '১৩ জানুয়ারি সোমবার ব্যাংকক অচল করে দেওয়ার কর্মসূচিতে প্রতিটি প্রদেশ থেকে বিপুল সংখ্যক লোক অংশ নেবেন।' ডেমোক্রেটিক পার্টি ২ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন বর্জন করার ঘোষণা দিয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে স্কুলগুলো বন্ধ রাখা হবে। মার্কিন দূতাবাসকে দুই সপ্তাহের খাবার, পানি ও ওষুধের মজুদ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নতুন করে সহিংসতার আশঙ্কায় তারা জরুরি অবস্থা ঘোষণার জন্য প্রস্তুত রয়েছে এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ২০ হাজার পুলিশ ও সৈন্য মোতায়েন করা হবে। এএফপি।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।