সন্ত্রাসী হামলায় পুত্র হারানো অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক জালাল উদ্দিন আকন্দ ১৩ বছর ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতের অপেক্ষায় দিন গুনছেন। এই দীর্ঘদিনেও তিনি পাননি পুত্র খুনের বিচার। পুলিশ দীর্ঘদিনেও মামলার চার্জশিট দিতে পারেনি।
২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনের পর ৯ অক্টোবর জালাল উদ্দিন আকন্দের ছেলে ঢাকা ডেন্টাল কলেজের মেধাবী ছাত্র ওয়াসিকুল আজাদ খুন হন। ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের ভরভরা গ্রামে বড় ভাইয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে সন্ত্রাসীরা গুলি করে তাকে হত্যা করে। সেই থেকে পুত্র শোকে মানসিক ভারসাম্যহীন আজাদের মা রোকেয়া বেগম (৬৫)। সন্তান হারিয়ে বাবা জালাল উদ্দিন আকন্দ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে এখন পঙ্গু।
২০০৩ সালে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার নিজের লেখা 'সহে না মানবতার অবমাননা' গ্রন্থে ঢাকা ডেন্টাল কলেজের মেধাবী ছাত্র ওয়াসিকুল আজাদকে গফরগাঁওয়ে গুলি করে হত্যাসহ একাধিক ঘটনা গুরুত্বের সঙ্গে ঠাঁই পায়। সেই থেকে আশায় বুক বেঁধে জালাল উদ্দিন আকন্দ ও বৃদ্ধা রোকেয়া বেগম ভেবেছিলেন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গেলে পুত্র হত্যার বিচার হবে। কিন্তু মহাজোট সরকার ক্ষমতার মেয়াদের পাঁচ বছরেও বিচার হয়নি। তবে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে ৭৫ হাজার টাকা অনুদান পান।
জানা যায়, ২০১০ সালের ১১ এপ্রিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ হত্যা মামলাটি পুনরুজ্জীবিত করলেও আসামিরা কেউ গ্রেফতার নেই। মামলায় আ. মোতালেব ডাকাত, গোলাপ ডাকাত, সিদ্দিকুর রহমান, ফজলু ডাকাতসহ আটজনকে আসামি করা হয়।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।