প্রচণ্ড গরমে পুড়ছে অস্ট্রেলিয়া। ইতোমধ্যেই দেশটির বিভিন্ন রাজ্যে সৃষ্টি হয়েছে দাবানল। বিরাজ করছে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড। দেশটির দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের বেশির ভাগ এলাকা প্রচণ্ড দাবদাহের কবলে পড়েছে। এর প্রভাবে পশ্চিম উপকূলে সৃষ্টি হয়েছে ভয়াবহ দাবানলের। এতে এই পর্যন্ত ৫৫টি বাড়িঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে এবং একজনের প্রাণহানি ঘটেছে। সম্প্রতি ২০১৩ সালকে অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসে 'সবচেয়ে উষ্ণ বছর' হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে এখন ৪০ ডিগ্রির ওপরে তাপমাত্রা বিরাজ করছে। সতর্কতা হিসেবে ভিক্টোরিয়া রাজ্যে সব ধরনের আতশবাজি ফোটানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। প্রচণ্ড গরমে মেলবোর্নে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে কানাডার এক খেলোয়াড় খেলা চলাকালীন অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ ছাড়া একজনের অজ্ঞান হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। প্রচণ্ড দাবদাহের কারণে গতকাল বিকালের খেলা বন্ধ রাখা হয়। দক্ষিণাঞ্চলের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানান, পানি স্বল্পতা ও অবসাদজনিত কারণে গত তিন দিনে ১২৯ জন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেছেন। ভিক্টোরিয়ায় ১০৯ জন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। রাজ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রচণ্ড দাবদাহে আমরা বিপজ্জনক সময় পার করছি এবং জনগণের সম্ভাব্য সব ঝুঁকি সম্পর্কে অবগত থাকা খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে। সাউথ অস্ট্রেলিয়ার আবহাওয়া বিভাগের ভারপ্রাপ্ত প্রধান জন নাইরন বলেন, রাজধানীতে ৪৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বিরাজ করছে। যা ১৯৩৯ সালের জানুয়ারির পর সর্বোচ্চ। প্রচণ্ড বাতাস ও ঝড়ো হাওয়ার পূর্বাভাস থাকায় দমকল কর্মীরা ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, ১৯৭১ থেকে ২০০৮ সালের মধ্যে দাবদাহ বিরাজের সময় ও এর তীব্রতা দুই-ই বেড়েছে। বিবিসি, এএফপি।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।