অযথা ঝগড়া বিবাদ ভাল লাগে না। শিক্ষা বলতে শুধু প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নয়। সু শিক্ষা চাই সর্বত্র।
ঘড়ির কাটায় সকাল সোয়া ৭টায় সিনিয়র সাংবাদিক কাজী আনিসুর রহমানের ফোন পেলাম। কথা শেষ করে আবারো কম্বলমুড়ি দিলাম।
দরজা-জানালা সব বন্ধ, এরপরেও কোথথেকে যেন কনকন ঠান্ডা হাওয়া ঢুকছিল রুমে। আরো মিনিট পনের পরে উঠে ফ্রেশ হয়ে রওয়ানা দিলাম ‘সকাল বার্তা প্রতিদিন’ এর ফ্যামেলি ডে অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। গায়ে কোট চাপানো থাকলেও, রিকশায় বসে টের পাচ্ছিলাম হিমেল হাওয়ার মৃদু ঢেউ।
আরো অনেক পরে ঈশা খাঁ’র সোনার গাঁয়ের দিকে রওয়ানা দিলাম আমরা এক ঝাঁক সংবাদকর্মী। সাথে আছে অনেকের স্ত্রী-সন্তান।
যাওয়ার পথে রিপোর্টার জাহাঙ্গীর,ফটো সাংবাদিক শহীদ, সমাজকর্মী জাহাঙ্গীর মাতিয়ে রাখলেন সবাইকে। নির্মল আনন্দে মাইনাস হতে চাননি কেউই। সোনারগাঁয়ে পৌছলে আমরা পেলাম এ সমাজের অন্য রকম এক মানুষ কবি শাহেদ কায়েসকে। তার চির হাসি মাখা মুখ দেখেই শুরু করলাম বার ভূঁইয়াদের অমর কীর্তি দেখা। সোনারগাঁয়ের চির সবুজ রুপ ক্যামেরা বন্দী করলেন মোহনা টিভি’র জেলা প্রতিনিধি আজমীর ইসলাম।
সিদ্ধান্ত নিলাম ওই টিভি ও ইসলামিক টিভি’র জন্য প্যাকেজ করার। আগ্রহ দেখালেন দিগন্ত টিভি’র আবুল হাসান। ইন্টারভিউ নিলাম সহযাত্রী এডভোকেট মশিউর রহমান শাহীন,আফরোজা কনাসহ কয়েকজনের। সোনারগাঁ কারু শিল্প ফাউন্ডেশনের পরিচালক দেশ বরণ্য কবি রবীন্দ্র গোপের কাছে যেতেই জড়িয়ে ধরলেন সহাস্যে। বললেন, সত্যিকারের মানুষের গল্প।
সেই সাথে ক্ষোভ ঝাড়লেন, সমসাময়িক কিছু দু:স্বপ্নের কথা বলে।
এদিকে অনুষ্ঠানের আনন্দ বাড়াতে বাধন ও তার দলবল শুরু করেছে দারুন সব গান। গানে ঢোল বাজিয়ের পারফরমেন্স ছিল চমৎকার। অনেকের সাথে নাচতে দেখলাম সাংবাদিক নাসিরউদ্দিন, আলমাছ আলী, মানব কল্যাণ পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান ভূইয়া, আইটি ইঞ্জিনিয়ার কামাল হোসেনকে। চারদিকে চোখ বুলিয়ে দেখলাম মুখগুলো সব উচছল।
তবে সিনিয়র সাংবাদিক বিনয় রায়কে দেখলাম একটু
আলাদাভাবে নিভৃতে সময় কাটাতে। ইতিমধ্যে আমাদের সাথে যোগ দিয়েছে আড়াইহাজার, রুপগঞ্জ, বন্দর ও সোনারগাঁয়ের অনেক সাংবাদিক। দুপুর গড়াচ্ছিল বিকেলের প্রান্তে। এলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আব্দুল্লা কায়সার। কিছুক্ষন বক্তব্য শুনলাম অনেকের।
এরপর ভোজন পর্ব শেষে ঘোরাঘুরি, জামদানী দোকানে দরাদরি। পুরো অনুষ্ঠান খুব ভালভাবেই তদারকি করেছেন সকাল বার্তা প্রতিদিনের প্রকাশক ও সম্পাদক প্লাবন রাজু। মাইকে ঘোষনা এল সোনারগাঁয়ের সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে উপহার নেয়ার সাথে গান শোনার।
ইতিমধ্যে বিকেলে সুর্য গড়িয়েছে সাঁঝ বেলায়। ফেরার জন্য টান অনুভব করলো সবাই।
ফেরার পথে মনে হল কবিতার ক’টি লাইন ‘বনভোজনে আয়োজনের কমতি ছিলো না; বিলুপ্তপ্রায় চিরহরিৎ বন ছিলো,বনের মাঝে জমকালো এক বাড়ী ছিলো,মুখরোচক খাবার ছিলো, মন ভোলানো সুর ছিলো। ’ শত ব্যস্ততার মধ্যে সোনারগাঁয়ে নির্মল সবুজ আনন্দে কাটানোর পুরো এক দিনের স্মৃতি নিয়ে ফেরলাম স্বনিবাসে। হাতে তখন সকাল বার্তা প্রতিদিন লেখা একটি সুন্দর মগ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।