গাজী আবদুল্লাহ আল মাহমুদ:
আমি আকাশ দেখতে দেখতে লিখি। কে থাকে ঐ আকাশ জুড়ে ? কে উড়ে বেড়ায়, মেঘের মতো? কে আলো ছড়ায়, চাঁদের মতো? ভাবি এই জগত্সংসার ছেড়ে আকাশে চলে যাব। ছোট্ট একটা ঘর বাঁধবো। আচ্ছা, আকাশে কি কেউ ঘর বেঁধেছে? তারা কোথায় ঘুরে বেড়ায়? সিনেমা দেখে কোথায়? গান শোনে কি করে? ভাবনার ইচ্ছেরা বড় নিষ্ঠুর। তাদের আমি বিশ্বাস করিনা।
আবার বিশ্বাস না করেও পারিনা। ভাবতে ভাবতে ক্লান্ত হয়ে যাই তবুও ঘোর কাটেনা। বুঝি, আমি নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছি। আমাকে নিয়ে খেলছে যেমন ইচ্ছা তেমন। একটুও প্রতিবাদ করতে পারছিনা।
আচ্ছা, আমার লেখা কি কেউ পড়ে? আমিতো বিরামহীন লিখে চলেছি। কার উদ্দেশে লিখছি? কেন লিখছি? দিস্তা দিস্তা কাগজ কি অকারণে শেষ করছি? না লিখলে আমার যে দম বন্ধ হয়ে আসে। মনটা ভারি হয়ে ওঠে। কখনো কখনো কান্না চলে আসে। হাহাকার করে ওঠে বুকের মধ্যে।
তিরস্কার করি নিজেকে, কিন্তু কোন লাভ হয়না। গোপনে অপমান বোধ করি। কিছুটা লজ্জাও পাই মনে হয়। নিরুপায়, অস্থির আমি।
আমার বড়ো হাসি পায়, দুঃখ হয়।
আমার শ’য়ে শ’য়ে বন্ধু আছে। সবাই নিজের মত ব্যস্ত। অনুভব করি তাদের। আড্ডা দিতে চাই প্রান খুলে। গল্প করতে চাই দীর্ঘ সময় ধরে।
কিন্তু তাদের তো সময় হয়না। একটা সময় ছিল, আড্ডা গল্পে মেতে থাকতাম সারাক্ষণ। অনেক বন্ধু ছি্ তাদের অনেক সময়ও ছিল। এখন তারা হারিয়ে গেছে। হারিয়ে যাবার জন্যই হয়তো এসেছিলো।
এখনো হয়তো তারা দিব্যি আড্ডা দেয়, কিন্তু সেখানে আমি থাকিনা বা আমাকে ডাকা হয়না। এখন আমাকে ছাড়াই আড্ডা চমৎকার জমে। অনায়াসে আমি আড়ালে চলে গেছি। কিন্তু গল্পের তৃষ্ণা আমার এখনো মেটে নাই। তাই আমার দিন কোন ভাবেই ফুরাচ্ছে না।
আমার খুব কষ্ট হচ্ছে। এতো কষ্ট আমার, কাউকে কি একটু দিয়ে দিবো? না, কষ্টতো আর যাকে তাকে বিলোবার জিনিস নয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।