স্বাগতম এবারের ঈদে মুভিখোরদের অনেকেই প্রতীক্ষায় ছিলেন টিভিতে ঘেটুপুত্র কমলা বা লালটিপদেখার জন্য। আর আমি খুজে বেড়াচ্ছিলাম আমাদের মাস্টারদা সূর্যসেনকে নিয়ে বলিউডের দ্বিতৃয় ছবি চিটাগং এবং পেয়েও গেলাম টরেন্ট লিঙ্ক Click This Link
গত বছর একই কাহিনীর ছবি মুক্তি পেয়েছিল। অভিষেক বচ্চন মাস্টারদা সূর্য সেনের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন এবার মাস্টারদার ভূমিকায় মনোজ বাজপেয়ী অভিনয় করেছেন। কে কেমন বা কোন ছবি কেমন হয়েছে আমি সেই বিতর্কে যাবোনা।
তবে কাহিনী যেহেতু আমাদেরই এই বাংলার দামাল ছেলেদেরকে নিয়ে এবং বলিঊডে নির্মিত পর পর দুটো সিনেমা একই কাহিনী(বাংলাদেশী) নিয়ে হয়ে গেল তাই কিঞ্চিৎ আলোচনা করার লোভ সামলাতে পারছিনা।
ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের অগ্রদূতদের মধ্যে আমাদের চট্টগ্রামের
মাস্টার দা সূর্য সেন অন্যতম। দেশ মাতৃকার জন্য তার সঙ্গে আরো কয়েকজন তরুণের( নির্মল সেন, প্রীতিলতা, লোকনাথ, লালমোহন,তারেকেশ্বর ,কল্পনা দত্ত, অম্বিকা চক্রবর্তী ,গনেশ, বিনোদ বিহারী,ঝঙ্কু প্রমুখ ) অগাধ ভালোবাসা এবং প্রতিদানে দেশকে মুক্ত করার প্রত্যয়ে জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। এই এই ছবিতে ফুটিয়ে তোলার চেস্টা করেছে ঝঙ্কু নামের ১৪ বছরের এক কিশোরের স্বপ্ন। যে সরল চোখে স্বপ্নকে বাস্তবায়িত হতে দেখতে চায়। তার স্বপ্নের নায়ক মাস্টারদা।
তার সরল মুখ,নতুন কিছু করার আনন্দ,জেদ,মাস্টারদার ওপর নির্ভরশীলতা তার স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে সারা ছবি জুড়ে ঝঙ্কুর মরিয়া প্রয়াস। তাই এই সিনেমাতে প্রথাগত নায়ক হচ্ছেন ঝঙ্কু আর তার আদর্শ আমাদের মাস্টারদা সূর্যসেন।
পুরো ঘটনাটি পরিচালক দেবব্রত পাইন একটু অন্যভাবেই দেখানোর চেষ্টা করেছেন। বৃটিশ শাসক উইঙ্কিনসনকে অনেকটা নরম মনের অর্থাৎ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে হার্ডলাইনে যেতে দেখা যায়নি আবার তেভাগা আন্দোলনও এখানে টেনে আনা হয়েছে। মাত্র ১ঘন্টা ৩১মিনিটে এতো বিশাল কাহিনী দেখাতে গিয়ে অনেক কিছুই ঘাটতি পরে যায়।
আর তাই হয়তো গল্প বলার প্রথায় বা ধারাবিবরণী দিয়ে ছবির অন্তরালের কাহিনি মেকআপ করার চেষ্টা করেছেন। তাই আমার নিকট মাঝে মধ্যে মনে হয়েছে এটা কি প্রামাণ্যচিত্র দেখছি!
শুনেছি বেদব্রত পাইন একজন খাটি বাঙ্গালী দেশভাগের সময় তার পুর্ব পুরুষ ঐ বাংলায় চলে যায়। বর্তমানে তিনি নাসাতে চাকুরী করেন। সেখানে একটি থিসিস লিখে যে টাকা পান তাই নিয়ে চলে আসেন ইন্ডিয়াতে এবং পুরো টাকাটা এই ছবির পেছনে খাটায়। আর এই ছবিই তার জীবনের প্রথম পরিচালনা।
তাহলে বলতেই হয় তিনি এই কাহিনীকে কতোটা ভালবেসেছেন, না হলে তিনি এই চ্যালেঞ্জ কেন নেবেন !!
তাই আমরা বলতেই পারি ধন্যবাদ বেদব্রত পাইন, আমাদের মাস্টারদা সূর্য সেনকে সিনেমা হিসেবে উপহার দেওয়ার জন্যে। নতুন পথের এই সূচনা লগ্নে আপনার জন্যে রইল আমাদের অসংখ্য শুভেচ্ছা।
আর হ্যাঁ ছবির গানগুলি কিন্তু সত্যিই চমৎকার এবং হ্রদয় ছোয়া।
পরিচালনা : বেদব্রত পাইন
প্রযোজনা : সুনীল ভোরা, অনুরাগ কাশ্যপ, সোনালি বসু, জয়দীপ অহ্লাট, বেদব্রত পাইন
অভিনয় : মনোজ বাজপেয়ী, ডেলজাদ হিওয়ালে, নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি, ভেগা তামোশিয়া প্রমুখ
চিত্রনাট্য : সোনালি বসু এবং বেদব্রত পাইন
সঙ্গীত : শঙ্কর-এহসান
এই কাহিনীর প্রথম রিভিয়্যু Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।