বিষাদের এক আঁতুড়ঘরে তোর জন্ম,
ঠিক যে মুহূর্তে-
শুক্রবিন্দুটা ধুমকেতুর মত ছুটতে ছুটতে
খুঁজে নিল ঝিনুকের কোল।
তন্তুগুলো সব ঝলমলিয়ে উঠেছিল,
অজস্র আতসবাজির রঙ্গে
নেচেছিল, ফুটেছিল, হেসেছিল-
অন্য সব গন্তব্যহীন ধুমকেতুগুলো।
ওদের অজস্র ব্যর্থ জন্ম
শুধুমাত্র একটা জন্ম সাজাবে বলে।
আর যে ঝিনুক ফুলটা,
অনেক শুন্য-বুক জন্মের মত
এই ফুলটাও না ঝরেই যেত।
তবু ঝরেনি, তবু ঝরেনি...
ধুমকেতু আর ঝিনুক মিলেছিল,
পৃথিবীর বুকটাও শিরশিরিয়ে উঠেছিল।
ঠিক তখনি,
মৃত্যুর অন্ধকার শুন্য কোনে
একটা মোমবাতি জ্বালানো হল।
জ্বলবে, যতক্ষণ না নিভে যায়...
কখন নেভে কেউ জানেনা,
সময় না, বৃক্ষ না, আকাশ না...
শুধু জানে একদিন নেভে,
কেননা জানতে হয়, যখন নিভে যায়।
এক একটি জন্ম, এক একটি মৃত্যুর জন্ম দেয়,
জাননা, প্রতিটি জন্মই জমজ সন্তান!
এক এক বিন্দু আলোর বিপরীতে,
জন্ম নেয় এক এক ফোঁটা অন্ধকার।
সকালের আলোকরশ্মি যেমন খাপখোলা তলোয়ার এর মত
অন্ধকার চিরে বাতাসে জমাট বাঁধে,
এই শর্তে যে আজ বিকেলেই-
বুক পেতে দেবে অন্ধকার এর ছোবলে!
আলো, অন্ধকার এর তুমুল প্রেমে
একইভাবে জন্মে, জন্মে যায়-
নতুন নতুন আনকোরা সব দিন...
গতদিনের মৃত্যুতে সময়ের অশ্রুবিন্দু গুলো কেমন
শিশিরের মত ঘাসে ঘাসে চুর হয়ে থাকে !
আমি আবারও বলছি শোন,
প্রতিটি জন্মই জমজ সন্তান।
এমন কোন রেখা তুমি টানতে পারনা,
যার কোন প্রান্ত বিন্দু নেই।
এমন বৃত্ত কে কবে আঁকতে পেরেছে-
কখনও যার কোন কেন্দ্র ছিলনা?
এমন কোন রঙ এ কেউ আঁকেনি
যা কখনও বিবর্ণ হয়না...
এমন কোন স্বপ্নটা তুমি দেখতে পেরেছ,
যা তোমার ঐ সূর্য থেকেও ম্লান????
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।