অন্ধকার; মৃত নাসপাতিটির মতন নীরব' বিপ্রতীপ দ্বিধাজড়িত অঙ্গুলিশীর্ষের স্পর্ষতায় অবয়ব অনুভুতিশুন্য, স্পর্শানুভূতিতে অনুপস্থিত শারীরিক সংবেদন, নিজ অনস্তিত্ত্বের শংকায় আঁতকে উঠি, প্রতিবিম্বের ছলনায় আতঙ্কিত হই, রুটি এবং মদে গড়া মাংস ও রক্ত কি সংবেদনহীন হয়ে পড়েছে? চকচকে দর্পন- হিমশীতল, নিরুত্তাপ, অনুভব করি তার স্বাগতস্পর্ষ, জমে যাওয়া প্রানহীন হামানদিস্তাও যেন কথা বলছে, অথচ দর্পনে নিহিত অপরিমেয় প্রনয়ে প্রতিফলিত হয় আত্মপ্রতারণা ও প্রবঞ্চনা, প্রতিফলক পৃষ্ঠে প্রতিবিম্বের প্রত্যক্ষ উপস্থিতিতে অনবলোকিত থাকে প্রকট প্রত্যাশা ভ্রমের অবয়ব, মরুর বুকে যেমন জলের ভ্রম, মরিচিকার দৃষ্টিবিভ্রম, বিভাজক রেখা পাড়ি দিয়ে কিংবা অদৃশ্যের ঘুলঘুলি গলে ক্ষীণদীপ্ত আলো জ্বলে আর নিভে, বিমুগ্ধ পাপের ভরকেন্দ্রে চিরআকর্ষন কেন্দ্রীভুত হয় আবারও, অত্থচ সে শুষ্ক দেহ অস্পর্শিত থেকে যায় যায়, প্রিয়তার অসূয়া প্রচ্ছায়ায়, মুখোসবন্দী চোখের অনির্বাণ দীপালোক আমি বিস্ময়বিমূঢ়, ভয়ার্ত হই, যতদুরে যেতে চাই আমার সাথে ততটুকুই দুরত্ববাড়ে, আয়নাঘরে মুখোসে বন্দী আমার প্রতিবিম্ব । ============== ছায়া সুর্যের বিপরীতে বৃষ্টিবিরল শুন্যতায় দেয়াল বিস্তৃত কৃষ্ণধূসর ছায়াচ্ছন্নতা, যেন ললাটে বিস্তৃত অসংযমি তিমিরকুন্তল; যাপিত জীবনের নির্ভুল অনুকরনে বেয়াড়া ও অবাধ্য অবয়ব ধারন যেন বন্ধুত্বের বিশ্বস্ততার অনুসরন; সুর্যবাতি ঢেকে যায় সাঁঝের মায়ায় লাল গালিচাপথে আঁধারের আগমনে ছায়াশরীর নুয়ে আসে, ক্রমেই মিলিয়ে যায় দ্বিধা জড়িত নিথর অবসাদে হারিয়ে যায় ছড়িয়ে শুন্যতার মৌতাত আর আমি ঘরমুখী মানুষের ভীড়ে একাকি দাড়িয়ে থাকি ল্যাম্পপোষ্টের মত ম্রিয়মান আলো-আধাঁরীর স্তব্ধতায় । =================== কামনা রেখা যখন ছায়াপথের বেদীতে নক্ষত্রের অর্ঘ্য নিবেদন করে চাঁদের ইজারা নিয়েছে রাত, তখন রাস্তায় বাতাসের রং ছিল নিরেট হলুদ । অন্ননালী বেয়ে উঠে এসে মুখের গহবরে বিবমিষার সঞ্চারপথে বিস্তৃত কামনা রেখা, মগজের জ্বালানী পুড়িয়ে বেয়ারা চোখে জ্বলে ধুমকেতুর শিখা, পিউকাহার দু-চোখের হলুদ সুর্যস্তে বেয়ে নেমে এসেছে দু-ফোঁটা কালো রাত, নিশুতির চাদরে মোড়া নভোলোকের সীমানায় তারকারাজীর বর্নীল মৌতাত । একটি মোমবাতি তখনি, আপত্তিকরভাবে আলো ছড়ানোর বাসনায় নিঃশ্বাসে জোর শব্দে টেনে নেয় বিশুদ্ধ অক্সিজেন । সচ্ছ পিয়াজের খোসা আবৃত সভ্য শামুক আস্তানা গড়ে শিকারির দখলহীন স্বত্বে, কয়েক আউন্স অহং পুর্নো ভ্যানিটি ব্যাগের মখমল পকেটে । অবশ্য, এসব পাপের আবরনে চাঁদের পুর্ন গ্রহনে কাঁচা হলুদ টিকটিকির সুশীল লেজ খসে পড়ে না ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।