আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জার্নি পিরিয়ড

রহস্যময় গ্যালাক্সি ঘুরে, অসীম আকাশে উড়ে আর সাগরের অতল গভীরে ডুবে আমৃত্যু পান করতে চাই ভালোবাসার অমৃত সুধা... নদীর পাশটা। তীর বললেই বোধ করি বেশি সুবিধা হয় বুঝতে। ঐ তীরেই বসলাম দু'জন। না মাইন্ড করার কিছু নেই। কারন, ও ছিল আমার বধু, প্রাণের বধুয়া।

ও আরও একটা কথা বলতে ভুলে গেলাম। আমাদের মামণিটাও তো ছিল। আরে ওর রিকোস্টেইতো এখানটায় আসা। খুবই কাছে, ঢাকার কাছের একটি নদী। পদ্মা।

মুন্সীগঞ্জের পদ্মা। পদ্মা পাড়ের যে প্রাকৃতিক দৃশ্যাবলী তা না দেখে থাকলে পাঠক আপনারাও আমাদের মতো ঢুঁ মারতে পারেন। সঙ্গে খাবার দাবার সবই নিয়ে গিয়েছিলাম। হাল্কা, ভারী সব ধরনের খাবারই সঙ্গে গিয়েছিলাম, কারন, কখন ফিরবো তার কোন কিনারা করে যাইনি। যতক্ষণ ভালো লাগে ততক্ষণ বসব।

ছবি তুলব। ভিডিও করব। একটু দূরেই গাঢ় মেরুন রঙের প্রাইভেট গাড়িটা রাখা। আজকে ইচ্ছে করেই ড্রাইভারকে সঙ্গে আনিনি। ঝামেলা মনে হয়।

রোম্যান্টিকতায় বাধা আসে। মুগ্ধ হয়ে আমাদের সামিহা জুমানাহ্ উপভোগ করছে অপরূপ প্রাকৃতিক দৃশ্য। নদীতে পানির পরিমান মোটামুটি তবে বেশী পানি থাকলে হয়তো আরও মনোরম মনে হতো। ছবি তুললাম একের পর এক। মমোরী কার্ড নিয়ে গিয়েছিলাম বেশ কয়েকটা।

ব্যাটারীও তাই। অফুরন্ত সুযোগ ছবি তোলার সেইভ করার। ভিডিও করলাম বিভিন্ন সিকোয়েন্সের। ক্যামেরার স্ট্যান্ডও নিয়ে গিয়েছিলাম। তাই অন্য কারো হেল্প নিতে হয়নি।

অটো করে ইচ্ছেমতো ছবি, ভিডিও করলাম। সন্ধ্যে হবার উপক্রম। কাব্য বলল, বাবা চলো এবার চলে যাই। যাবে? বললাম আমি। সাঁই করে গাড়ি ঘুরিয়ে অচেনা পথ আর গলি ধরে অল্প সময়েই চলে এলাম বাসায়।

কাজের বুয়াকে বলে রেখেছিলাম নানরুটি ভেজে রাখার জন্য। সাথে গরুর মাংস। আহ্ ইচ্ছেমতো খেলাম। তারপর ...। একরাশ ঘুম।

সুন্দর, মুগ্ধকর একটি স্পট জার্নি পিরিয়ড শেষ হলো। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।