আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জার্নি বাই বাস ( এ সি )

খুবই খারাপ পাবলিক ঢাকায় আসছি। কয়দিন যাবত মারাত্তক গরম। তাই ভাব্লাম গরমে এ সি বাস এ যাই। মফস্বল শহরের এ সি বাসে ভ্রমনের যে কি বিচিত্র অভিজ্ঞতা হল । বাসে উঠার একটু পরেই এক যাত্রী বমি করে দিল।

আহহারে !! বমির একটা টক টক গন্ধ সারা বাসে। এয়ার ফ্রেস্নারের নামে খবর নাই। এ সি বন্ধ করে তাই কিসুক্ষনের জন্য জানালা খুলে দিলাম। এমন আলামত আগে দেখি নাই কখনো। একটু পরেই আরেক যাত্রী কয় ভাই শীত লাগে।

এ সি বন্ধ করে দেন আরে ! বাস স্ট্যান্ড এ কতো বাস ছিল। এত প্রব্লেম থাকলে এই বাসে উঠার দরকার ই বা কি ছিল। আমার পাশের যাত্রীর আবার একটু পর পর ফোন আসে। আর ফোন আসলেই শুরু হয় তার জোরে কথা বলা । আরেকটু জোরে কথা কথা বলতে পারলে আর মোবাইল ফোন এর দরকার হতো না।

“কি? অই , সুনি না তো। আরে আমি এ সি বাসে । শুনি না। কি!!” “কে? এ সি বাসে ভাই। বুজি না কি কন।

“ “কি? পরে কথা কমু। এ সি বাসে কথা জোরে কয়ন যায় না। “ মাথাটা গরম হয়ে গেছে। আল্লা আল্লা করছি । কবে যে নামবো।

দেখতে মাছ ওয়ালা টাইপ এক লোক চিৎকার করা শুরু করলো, অই এ সি বন্ধ করেন। অই হেল্পার। এ সি বন্ধ করেন। পাশের নাক খোঁচানো চেক কোট পরা আরেক যাত্রী এই কথা শুনে আরেক চিৎকার শুরু করলো। “এ সি বন্ধ করবে কেন? মাগনা নি? ৪০ টেকা বেশি নিছে।

“ এই কাঠ ফাটা গরমে কোট পরা লোকটাকে দেখে আঁতকে উঠলাম। এ সি বন্ধ করলে অই লোকের কি হবে সেইটা আর কল্পনা করতে পারলাম না। অলরেডি মাছ ওয়ালা আর চেক কোট বিরাট ঝগড়া শুরু করে দিয়েছে। আমি আতংকে ব্যাগ হাত্রাচ্ছি। ব্যাগ গুছানোর জন্য না, হেড ফোনটা কই রাখলাম!! ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।