বাসে করে কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রাম আসছিলাম। আমার ডানের সিটে বসেছিলো দুই ছোকরা,যারা বাসে উঠে বসার পর থেকেই ক্ষনে চানাচুর চাবাচ্ছে তো ক্ষনে আমড়া খাচ্ছে। তাদেরই সামনে বসেছে বাচ্চা কোলে নিয়ে এক মহিলা।
তারপরই বিপত্তিটা বাধলো,বাস চলাকালে ছোকরাদ্বয়ের একজন ভক করে সামনে বমি করে দিলো। পড়বি তো পড় সামনের মহিলার ঘাড়ের উপর গিয়ে পড়লো।
সাথে সাথে মাতঙ্গিনী তার শ্বাশত রুপে বহিঃপ্রকাশ করলেন।
ওই গোলামের পুত,কুত্তার বাচ
্চা তহন থেইক্যা দেখতাসি নাদানের মত খালি চাবাইতাছোত। পেডে যদি নাই রাখতি পারোস,গিলোস কিয়ের লাইগ্যা। অমাইন্সের বাইচ্চা আমার এখন কি অইবো। এই গন্ধ কাপড়ডি লইয়া আমি অহন কই যামু।
তারপরই কষিয়ে একটা থাপ্পড়!
এরপর নিজের বাচ্চাকে তুলে ধরে সবাইকে দেখিয়ে-আমার এই আঠারো মাসের বাচ্চার ওতো পেডের গ্যারান্টি আছে,তুই কুত্তার বাচ্চার কা নাই। এটা বলেই সেকেন্ড ফেসে এটাক। (বমনকারী উপুর্যপুরী বমি আর থাপ্পড়ে তখন পর্যুদস্ত)।
এরপরই মহিলা দেখলো,আমি হাসি দিয়ে ফেলছি। সাথে সাথে আমাকে-ভাইজান আপনের হাসি আইতাছে,আমার এই নাদানেরে ফাড়াইয়া মাইরা লাইতে মন চাইতাছে।
নডির পুত তুই আমার গায়ে বমি না কইরা আইজ্ঞা(হেগে) দিতি,তারপরও আমি তোরে কিছু কইতাম না।
আমি বাপু সব দেখতারি,কিন্তু বমি দুইচোখে দেখতারি না।
আর আমি ঐদিনই প্রথম জানলাম,গুয়ের থেকে বমির সামাজিক মর্যাদা বলতে গেলে নাই। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।