আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

স্মৃতিচারণ



জীবনটা দ্রুত শেষ হয়ে যাচ্ছে,শেষ বিকেলের সূর্যের মত। এই কথাটা যেদিন মনে হল তার কিছুক্ষণ পরেই শুনলাম আবু বকর আর নেই,যে আবু বকর ছিল আমার অনুজ,একই কলেজ থেকে আমরা এইচ এস সি পাস করেছিলাম। সে আজ কুৎসিত ছাত্র রাজনীতির বলির পাঠা হয়েছে। যে আবু বকর তার স্বপ্নের পালকে ভোরের সোনালী কাঁচা রোদ লাগিয়েছিল। স্বপ্ন দেখেছিল তার পরিবারকে দ্রারিদ্রতার পাশবিকতা থেকে মুক্ত করে সুখের সুদিনের পালে হাওয়া লাগাতে।

সে পাল উড়িয়েছিল,নৌকা ছেড়েছিল কিন্ত সে নৌকা তীর খুজে পায়নি। কোন কোন ফুল যেমন ফুটার আগেই কলি অবস্থাতে কীট তাকে খেয়ে ফেলে,তার রূপ-রসে পৃথিবীকে মুগ্ধ করতে পারে না অথবা পৃথিবীর রূপ-রসে নিজে উপভোগ করতে পারে না ঠিক তেমনই কীট রূপী ছাত্র নামধারী নরপশু কর্তিক আবু বকরের জীবন প্রদীপ সকাল বেলাতেই অন্ধকারে হারিয়ে গেল। ৫২,৬৯,৭১ ও ৯০ এ যে ছাত্র রাজনীতি দেশ কে আলোর পথ দেখিয়িছি আজ সে ছাত্ররাজনীতিতে অন্ধকার অপদেবতার ছায়া। গত ২০০৪ সালেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন ঘটনা ঘটনা ঘটেছিল। ২০০৮ সালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪র্থ সেমিস্টারের এক ছাত্রের ভাগ্যেও আবু বকরের মত ঘটনা ঘটেছিল।

দেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একই অবস্থা। তাইতো পৃথিবী ৫০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বাংলাদেশের কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম নেই। বিদ্যা অর্জন করে আলোকিত মানুষ হতে দেশের সর্বোচচ বিদ্যাপিঠে আসা শিক্ষার্থীদের প্রতি বছর এভাবে মৃত্যুর ঘটনা বেড়েই চলছে। যা কিনা কোনো সুস্থ্য সমাজে কাম্য নয়। জন্মই যেন আবু বকরদের আজন্ম পাপ।

এ রকম হাজারও আবু বকর প্রতিবছর প্রাণ হারাচ্ছে। যাদের পরিবারের আর্তনাদে পৃথিবীর বাতাস ভারী হয়েছে বটে কিন্তু আইনে কাঠগড়ায় তা মাথা ঠুকরে মরেছে। আইনেরই কোন এক ফাঁক গলিয়ে পালিয়ে গেছে অপরাধী। আজ আমাদের শিক্ষাঙ্গনের এই পরিবেশ জন্য দায়ী আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা,সরকার ও শিক্ষকরা। মাননীয় স্বরাষ্ট্র্যমন্ত্রী বলেছেন এটা একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা,এমনটা ঘটতেই পারে।

তার এই বক্তব্য অসমীচীন,অসাংবিধানিক। যিনি কিনা দেশের মানুষে রক্ষাকারী তার মুখে এমন বক্তব্য অপ্রত্যাশিত। আশাকরি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে দৃষ্টি দিবেন। অপর দিকে শিক্ষকরাও এ ব্যপারে দায়ী। একজন শিক্ষকের যেখানে শিক্ষা ও ছাত্রের কল্যান নিয়ে ভাবার কথা সেখানে তারা কাল দল ,বেগুণী দল নিয় মত্ত থাকেন।

অপর দিকে পার্টটাইমার হয়ে যখন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যান তখন তাদের চিটিংএ যেন স্ফুরণ ঘটে। এই অবস্থা কোন সুস্থ জাতির জন্য কাম্ম নয়,চলতে দেয়া যায় না। এই অবস্থা চলতে থাকলে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অচিরেই একটি শিক্ষিত বস্তিতে পরিণত হবে। যা বিষিয়ে তুলবে পুরো সমাজকে।



এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।