মনোয়ারা মণি কতো অজানারে...১ Tuesday, 21 December 2010 at 17:25 ইচ্ছে ছিলো 'গনতন্ত্র' দিয়ে শুরু করবো, তা প্রসংগ বদলে গেলো... কেন বদলে গেলো, কে তার জন্য দায়ী, সে প্রসংগ থাক, না চাইতেও প্রসংগ বদলে যায়, বদলাতে হয় নানা কারণে... কবি অথবা লেখক হবার মতো জ্ঞান আমার নেই, লেখা পড়তে ভালো লাগে আর মাথার মধ্যে ঘুরপাক খায় নানা প্রশ্ন, যার উত্তর জানতে চায় এই বোকা মন... প্রশ্নগুলো আসলে প্রশ্ন কিনা তা জানতে পারলেও জ্ঞান ভান্ডারে একটু সঞ্চয় বাড়বে... মানুষ তো মানুষই, ছেলে বা মেয়ে এটা প্রাকৃ্তিক একটা ব্যপার, যাতে কারোরই হাত নেই... 'মনের' কোন জেন্ডার আছে কিনা তাও জানা নেই… একজনের ধারণা নিয়ে তো আর পৃথিবী চলবে না, তাই ছেলে আর মেয়েদের নিয়েই কথা বলতে হবে... প্রসংগ মেয়েরা ছেলেদের কথা ভুলে যায় আর অপর পক্ষ মনে রাখে… নানা সময়ে, নানা ভাবে এ ব্যপারটা নিয়ে লেখালেখি হয়েছে, হচ্ছে এবং হতেই থাকবে… আদি থেকে অনন্তকাল ধরে... যাদের নিয়ে এই লেখালেখি চলছে তারা কে? ছেলেরা কে?? বর বেচারা এলো কোথা থেকে??? আর মেয়েরাই বা কারা???? আমার যা মনে হয়... ছেলে তো ছেলেই, ওদের তো আর পরিচয় নেই, তারা জন্মসুত্রে রাজা, আর বিবাহ সুত্রে স্বামী, মায়ের কথা, 'সোনা তো সোনাই, সে মায়ের কাছেই হোক আর বৌ্যের কাছেই হোক... একটা নিষ্পাপ শিশুর জন্ম হয়, বুঝে উঠার পর যার প্রথম শিক্ষা, 'ভালো করে পড়, না হলে ভালো বর পাওয়া যাবে না, ভালো মতো কথা বলবি, ভালোভাবে চলবি, শশুড় বাড়ীর কেউ যেন মন্দ না বলতে পারে, পরিবারের যেন বদনাম না হয়, আরও অনেক কিছুতে লিষ্ট এতো বড় হতে থাকে যে, তার নিজের জন্য কি শিখতে হবে তা ভাবার অবকাশ হয়তো আর হয়ে উঠে না... জন্ম থেকেই যেন বহুরূপী, তার নিজের কোন বাড়ী নাই, হয় বাপের বাড়ী না হয় স্বামীর বাড়ী... মেয়ে থেকে শুরু, তারপর বোন, বান্ধবী, প্রেমিকা, স্ত্রী, বৌ, মা, শাশুড়ী, পরিশেষে হয় দেবী না পাষণ্ডিনী... যে শব্দের সঠিক মানে আজও মানুষ খুঁজে ফেরে (পরের আলোচনায় থাকবে) সেটা বোঝার আগেই বিয়ের তাড়া, বিয়ে দিতে হবে, কারণ অনেক… তার মধ্যে সৎপাত্র নামক শব্দটি হাত ছাড়া হয়ে যাবার আশংকা, নিরাপত্তা প্রসংগ টানলে কথা অনেক বেড়ে যাবার ভয়, আর বয়স বেড়ে গেলে তো আরও সমস্যা... কে কার জন্য কবিতা লিখেছে সে হয়তো বোঝারই সময় পেলো না… এমনও হতে পারে একটু বুঝতে চাইলেও বলার আর সাহস হলো না… তারপর... হয় বন্ধু কবিতা হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকলো, না হয় বিয়ের মন্ত্র পড়ার সাথে সাথেই বন্ধুটি স্বামী রূপ ধারণ করলো... আগের দিন যে বন্ধুদের নিয়ে একসাথে আড্ডা করেছে, পরের দিন সেই বন্ধুর সাথে বৌকে হাসি মুখে কথা বলতে দেখতেও আর ভালো লাগছে না… বিশাল হৃদয় নামের বিখ্যাত ব্যক্তিটিও অনায়াসে বলছে ‘তোর মা আমার মা, তোর বোন আমার বোন কিন্তু আমার বৌ আমার বৌ... বহুরূপীকে তো কেউ ছাড় দেয় না, সবার রূপের সাথে নিজেকে মিলাতে যেয়ে সে নিজেই এমন এক রূপ ধারণ করে, যাকে হয়তো সে নিজেও আর চিনতে পারে না… সব কিছু সামলিয়ে বন্ধুদের সাথে শেয়ার বা একটু হাসি ঠাট্টা করা তারও উপায় নেই… শুনতে হয়... ’সুজাতাই শুনেছি তো সবচেয়ে সুখে আছে… এগুলো কি সমস্যা না অন্যকিছু? যদি সমস্যা হয়, তাহলে সেগুলো কোথায়…???? চলবে… … পরবাসের অভিজ্ঞতা... Tuesday, 30 November 2010 at 11:16 খলিল মাহমুদকে... দেশ ছেড়ে পরবাসে এসে প্রথম ধাক্কা... গ্রামে ছিলাম আর বাংলা জানি এটা বললে সন্মানের হানি... সে কি কষ্ট... একদিন শুনলাম 'এক বাঙালীকে ছোট কাজ করতে দেখে আরেক বাঙালী বন্ধুদের কাছে নিজেকে ফিলিপিনি বলে পরিচয় দিচ্ছে'... সে অনেক গল্প ভাই... আপনার সৎ সাহসের সাথে নিজের মিল খুঁজে পাওয়ার জন্যই এ লেখা... বিধাতা এতো কিছু দিলো তবুও আমাকে 'জসীম উদ্দিনের রেল সড়কের ছোট্ট খাদ ভরে ডানকানা মাছ কিলবিল করে'...সেখান থেকে বাইরে আনতে পারলো না... হে ভাগ্য বিধাতা একি তোমার না আমার পরাজয়...? আপনি আরও ভালো লিখবেন এই কামনা করছি... ধন্যবাদ। (প্রথম নোট লেখার ভুল ত্রুটি সহ কপি পেস্ট করা )
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।