দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া এবং কাওড়াকান্দি-মাওয়া রুটের নৌপথ ফেরি ও লঞ্চ চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ায় রাজধানীর সঙ্গে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পরিবহন ব্যবস্থা প্রায় অচলাবস্থার শিকার। কাওড়াকান্দি ও মাওয়া নৌপথে ১১ দিন ধরে নাব্যতার অভাবে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। দৌলতদিয়া ও পাটুরিয়া রুটে ফেরি চলাচলও কয়েক দিন ধরে প্রায় বন্ধ হওয়ার পথে। নৌপথে নাব্যতার অভাবে দৌলতদিয়া ও পাটুরিয়া এবং কাওড়াকান্দি-মাওয়া রুটের দুই পাড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ফেরি ও যাত্রী পারাপারে সৃষ্টি হয়েছে মহাসংকট। পদ্মা নদীতে সেতু না থাকায় দেশের দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে সড়কপথে সরাসরি যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। বাস-ট্রাকসহ সব ধরনের যানবাহন ফেরিতে পার হয়। নাব্যতা না থাকায় ফেরি চলাচলে সৃষ্টি হয়েছে প্রতিবন্ধকতা। বাসযাত্রীদের একটি বড় অংশ লঞ্চে নদী পার হয়ে একই পরিবহনের অন্য গাড়িতে করে নির্দিষ্ট গন্তব্যে যাতায়াত করে। লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ায় হাজার হাজার যাত্রী এখন নাকাল অবস্থার শিকার। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে সড়কপথে যোগাযোগের ক্ষেত্রে কাওড়াকান্দি-মাওয়া এবং দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ার নৌচ্যানেলে নাব্যতা পূর্বশর্ত হিসেবে কাজ করে। এই দুই রুটের মধ্যে ব্যাপক হারে চর পড়ায় নৌচলাচল বিঘি্নত হচ্ছে। পদ্মা সেতুর বাস্তবায়ন ঝুলে যাওয়ায় রাজধানীর সঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সরাসরি যোগাযোগ কবে সম্ভব হবে তা একটি প্রশ্নের বিষয়। রাজধানীর সঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যোগাযোগের ক্ষেত্রে যে ব্যবস্থা রয়েছে তা বন্ধ হয়ে গেলে গণমানুষের ক্ষোভই শুধু বাড়াবে। যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতা দেশের দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের জন্য বিড়ম্বনা সৃষ্টি করবে_ যা কাম্য হওয়া উচিত নয়। রাজধানীর সঙ্গে পদ্মাপাড়ের বিশাল অঞ্চলের যোগাযোগ নির্বিঘ্ন করতে দুটি গুরুত্বপূর্ণ নৌ চ্যানেলের নাব্যতার দিকে নজর দেওয়া উচিত। ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে এ দুটি চ্যানেল সক্রিয় করতে কর্তৃপক্ষ নজর দেবে, আমরা তেমনটিই দেখতে চাই।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।