আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আউট নিয়ে হতাশা শচীনের

সিরিজটাই আয়োজন করা হয়েছে শচীন টেন্ডুলকারের বিদায় উপলক্ষে। ইডেন গার্ডেনে যে এত উৎসব তার কেন্দ্রবিন্দুতে তো লিটল মাস্টারই। অথচ কলকাতা টেস্টে শচীনকে আউট হতে হলো আম্পায়ারের বিতর্কিত এক সিদ্ধান্তে। রিপ্লেতে পরিষ্কার দেখা যাচ্ছিল, শেন শিলিংফোডের বলটি টেন্ডুলকারের পায়ে না লাগলে তা স্ট্যাম্পের ওপর দিয়ে চলে যেত। আর আম্পায়ার কিনা মুহূর্তের ভুলে আঙ্গুল উঠালেন। টেন্ডুলকার আউট হওয়ায় গোটা কলকাতায় যেন অন্ধকার নেমে আসে, পুরো ভারতেই হতাশা বিরাজ করছিল। ১০ রান করে ক্রিকেট ঈশ্বর যখন ড্রেসিংরুমে ফিরছিলেন তখন পুরো গ্যালারি দাঁড়িয়ে তাকে অভিনন্দন জানান। কিন্তু সবাই তখন ছিলেন ক্ষোভে আগ্নেয়গিরি। এমন সিদ্ধান্ত কেউ-ই মেনে নিতে পারেননি। ক্যারিয়ারে অনেকবারই আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্তের বলি হয়েছেন ব্যাটিং জিনিয়াস। আর এই মানুষটাই কিনা আম্পায়ারদের সম্মানে লড়াই করে এখনো ভারতে প্রবেশ করতে দেননি রেফারেল পদ্ধতি। মাঠে কি এ সময় একবারও শচীনের মনে হয়নি, যদি রেফারেল পদ্ধতি থাকত তিনি বেঁচে যেতেন। হয়তো অন্যবারের মতো এবারও এই সিদ্ধান্তকে পার্ট অব ক্রিকেট ভেবে নিয়েছেন শচীন। তাই তো আউট হওয়ার পর তার ভেতর কোনো প্রতিক্রিয়া ছিল না। নীরবে ড্রেসিংরুমের দিকে হাঁটতে শুরু করেন। তখন গ্যালারিতে ক্ষোভ এমন পর্যায়ে পেঁৗছেছিল যে, হয়তো শচীন একটুখানি প্রতিক্রিয়া দেখালে ভক্তরা মাঠে নেমে গিয়ে শায়েস্তা করে আসতেন আম্পায়ারকে! অথচ শচীন কি নির্বিকার। এমন আচরণের জন্যই বুঝি ভারতীয়রা টেন্ডুলকারকে আজ দেবতার আসনে বসিয়েছেন।

শচীনকে বিতর্কিত আউট দেওয়ার প্রতিশোধটা অবশ্য একদিন পরেই নিয়েছেন তার সতীর্থরা। তবে বাজে আচরণ করে নয়, পারফরম্যান্সের জাদু দিয়ে। কাল ভারতীয় বোলাররা এতটাই আগ্রাসী রূপ ধারণ করেছিলেন যে, ক্যারিবীয়দের মাত্র ১৬৮ রানেই অলআউট করে দেন। আর এখানে ইডেনের দর্শকদের হয়ে ক্যারিবীয়দের ওপর ক্ষোভ ঝেড়েছেন বাঙালি বোলার মোহাম্মদ সামি। দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মেরুদণ্ডই ভেঙে দিয়েছেন তিনি।

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.