সেই সঙ্গে ভোটে কেউ বাধা দেয়ার চেষ্টা করলে তাদের ‘উপযুক্ত শিক্ষা’ দিতেও নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
রাজনৈতিক সহিংসতার জন্য বিরোধী দলীয় নেতাকেও বিচারের মুখোমুখি হতে হবে মন্তব্য করে নাশকতাকারীদের ধরিয়ে দেয়ার জন্যও তিনি সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
নতুন বছরের প্রথম দিন বুধবার রাজধানীতে নির্বাচনী প্রচার শুরু করে মিরপুর, পল্লবী ও উত্তরায় তিনটি জনসভায় ভাষণ দেন শেখ হাসিনা।
বিকালে সর্বশেষ জনসভায় উত্তরার আযমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে শেখ হাসিনা বলেন, “৫ জানুয়ারি নির্বাচন হবে। আমি আপনাদের অনুরোধ করব, প্রত্যেকে ভোট কেন্দ্রে যাবেন।
মনে করবেন না জিতেই তো গেছি, কেন্দ্রে গিয়ে কি হবে। ”
বিরোধী দলের বর্জনের কারণে দশম সাংসদ নির্বাচনে ১৫৩টি আসনে প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে গেছেন। বাকি আসনগুলোতেই ৫ জানুয়ারি ভোট হবে।
আযমপুর (ঢাকা-১৮) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাহারা খাতুনের জন্য জনগণের ভোটও চান তিনি।
নির্বাচন ঠেকাতে বিরোধী দল ও বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার আন্দোলনের সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, “আন্দোলনের নামে যারা মানুষ হত্যা করছে, নাশকতা চালাচ্ছে- একদিন এর বিচার বাংলার মাটিতে হবে।
উনি হুকুমের আসামি হবেন। ”
এর আগে দুপুরে পল্লবীর হোসেন মোল্লা পার্কে ঢাকা-১৬ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য ইলিয়াস আলী মোল্লার পক্ষে এক নির্বাচনী জনসভায় বক্তৃতা করেন শেখ হাসিনা।
নির্বাচন পেছানোর সুপারিশ করায় নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, “তাদের কাজ হচ্ছে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করা। ”
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিরোধী দলের আন্দোলনের যৌক্তিকতা নিয়ে আবারো প্রশ্ন তোলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশের মানুষ এক-এগার ভুলে যায়নি।
ছাত্র-শিক্ষক-ব্যবসায়ী এমন কেউ নেই যে তাদের অত্যাচারের শিকার হননি।
২০০৬-০৭ সালে সেনা নিয়ন্ত্রিত সেই সরকারের সময় দেশের পরিস্থিতি স্মরণ করিয়ে দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “তত্ত্বাবধায়ক সরকার খালেদা জিয়ার দুই ছেলেকে উত্তম-মধ্যম দিয়ে বিদেশ পাঠিয়েছিল। মানুষকে তারা কতোটা অত্যাচার করেছিল তা বিরোধীদলীয় নেতা ভুলে যান। ”
শেখ হাসিনা বলেন, মানুষ আর ওই সরকার চায় না, গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রাখতে চায়।
এর আগে মিরপুর ১০ নম্বরে আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে প্রথম জনসভায় বক্তব্য দেন তিনি।
ঢাকা-১৫ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও স্থানীয় সাংসদ কামাল আহমেদ মজুমদারের সমর্থনে এই জনসভা হয়।
এ সভায় শেখ হাসিনা অভিযোগ করেন, নির্বাচন বন্ধ করার ‘ষড়যন্ত্রে’ চলছে।
“চক্রান্ত হচ্ছে। তারা এক-এগারোর পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চেয়েছিল। … যারা কিংস পার্টি প্রতিষ্ঠা করেছিল তারা এখনো সরব।
অগণতান্ত্রিক সরকার হলে তাদের চাহিদা বাড়ে। তাই তারা নিজেরাই নিজেদের বিশিষ্ট নাগরিক হিসেবে ঘোষণা করেছেন। ”
‘ষড়যন্ত্রকারীদের’ বিরুদ্ধে সজাগ থাকার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
নৌকার পক্ষে ভোট চেয়ে আওয়ামী লীগ নেত্রী বলেন, মানুষ যা চায় আওয়ামী লীগ তাই করে। আর মানুষ যা চায় বিএনপি তার উল্টোটা করে।
“যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানো, জঙ্গিবাদ কায়েম করা, বোমা মেরে মানুষ হত্যা করা, জ্বালাও-পোড়াও তাদের কাজ। বোমাবাজি ছাড়া তারা আর কিছু বোঝে না, গণতন্ত্রও বোঝে না। ”
অন্যদের মধ্যে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, ঢাকা মহানগর কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এমএ আজিজ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম ও দলীয় সাংসদ আসলামুল হক বক্তব্য দেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।