টি-২০ বিশ্বকাপকে সামনে রেখে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা প্রস্তুতি নিয়েছে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ (সিএমপি)। খেলোয়াড় ও দর্শকদের নিরাপত্তার জন্য আইসিসির দেওয়া সিকিউরিটি গাইড অনুযায়ী সাজানো হয়েছে নিরাপত্তা পরিকল্পনা। এ সময়ে চট্টগ্রাম ভেন্যু ও হোটেলেগুলোতে মোতায়ন করা হবে প্রায় ৫ হাজার নিরাপত্তাকর্মী। পুলিশ, র্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের পাশাপাশি নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত থাকবে সেনাবাহিনীর সদস্যরাও।
সিএমপির উপ-কমিশনার (সদর) মাসুদ উল হাসান জানান, 'খেলোয়াড় ও দেশি-বিদেশি দর্শকদের নিরাপত্তা দিতে পুলিশ ছাড়াও বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ৫ হাজারের অধিক সদস্য দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবে।' টি-২০ বিশ্বকাপের বিশেষ নিরাপত্তার দায়িত্ব পাওয়া সিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার তারেক আহমেদ বলেন, 'আইসিসি'র দেওয়া নিরাপত্তা গাইড অনুযায়ী সিএমপি খেলোয়াড় ও দর্শকদের নিরাপত্তা দেবে। দেশি-বিদেশি খেলোয়াড় ও দর্শকদের নিরাপত্তা দিতে চট্টগ্রামের নিরাপত্তা বাহিনীরা প্রস্তুত রয়েছে।' জানা যায়, বিশ্বকাপের আগে অনুশীলন, কোয়ালিফাই ও গ্রুপ পর্বের ম্যাচগুলোতে অংশ নিতে ১১টি দল বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামে আসবে। দলগুলো জহুর আহমেদ চৌধুরী ও এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে ৮টি অনুশীলন ম্যাচ ছাড়াও কোয়ালিফাই এবং গ্রুপ পর্বের ১৫টি ম্যাচ খেলবে। চট্টগ্রামে আসা খেলোয়াড় ও বিদেশি দর্শকদের নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা দিতে সিকিউরিটি পরিকল্পনা ছাড়াও ট্রাফিক প্ল্যান ও ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট পরিকল্পনা করেছে সিএমপি। এ সিকিউরিটি পরিকল্পনা বাস্তবায়নে থাকবে পুলিশ, র্যাব, গোয়েন্দা সংস্থার অন্তত ৫ হাজার নিরাপত্তা কর্মী। সিএমপির লোকবল সঙ্কট থাকায় বাইরে থেকে আনা হচ্ছে অতিরিক্ত লোকবল। তাদের সহযোগিতার জন্য নেওয়া হচ্ছে সেনাবাহিনীকেও। বিশ্বকাপ চলাকালে নগরীর শাহ আমানত বিমানবন্দর থেকে হোটেল পেনিনসুলা ও হোটেল আগ্রাবাদ, পেনিনসুলা থেকে চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী বিভাগীয় স্টেডিয়াম ও এমএ আজিজ স্টেডিয়াম, হোটেল আগ্রাবাদ থেকে এঙ্সে রোড ও পোর্ট কানেকটিং রোড হয়ে ভেন্যু পর্যন্ত রোডম্যাপ করেছে ট্রাফিক পুলিশ। এসব রোড দিয়ে খেলোয়াড় ও আইসিসি কর্মকর্তাসহ বিদেশি অতিথিরা যাতায়াত করবেন সেসব রোডে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তারা যাতে যানজটের কবলে না পড়েন, সে ব্যাপারেও আগেভাগেই সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।