আগেই ঘোষণা ছিল টি-২০ বিশ্বকাপ উপলক্ষে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেওয়া হবে। এ নিয়ে কারোর আপত্তি নেই। বরং সবাই সন্তুষ্ট, কেননা এত বড় আয়োজনে কোনো বিশৃঙ্খলা দেখা গেলে দেশেরই সুনাম নষ্ট হবে। কিন্তু নিরাপত্তার ধরনটা দেখে ঢাকাবাসী বিরক্ত না হয়ে পারছে না। মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে বাছাই পর্ব লড়াইয়ে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের ম্যাচের দিনতো অসহনীয় অবস্থা ছিল। বিকাল সাড়ে ৩টায় ম্যাচ শুরু হলেও গ্যালারিতে প্রবেশের জন্য সকাল থেকে দর্শকরা মিরপুরমুখী হওয়াতে বিভিন্ন রাস্তায় অসহনীয় যানজট সৃষ্টি হয়। এ জন্য আগাম রাস্তা বন্ধ রাখা হয়েছিল। তারপর আবার বিদেশি দলগুলোর প্র্যাকটিস ঘিরে মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই। দেখা যাচ্ছে সকালে যারা হোটেল থেকে প্র্যাকটিসে রওনা দিচ্ছে তখন স্টেডিয়ামে না পেঁৗছানো পর্যন্ত ফার্মগেট থেকে মিরপুর ১০ নং গোল চত্বর পর্যন্ত কোনো যানবাহনই চলতে দেওয়া হচ্ছে না। প্র্যাকটিস থেকে হোটেলে ফেরার সময় একই অবস্থা।
বিদেশি দলগুলোকে নিরাপত্তা দেবে ভালো কথা। কিন্তু এক্ষেত্রে রাস্তা বন্ধ রাখা হবে কেন? ক্রিকেটাররা যে সদৃশ্য বাস করে যাতায়াত করছেন সেখানে বাসের সামনে ও পেছনে কয়েক প্লাটুন নিরাপত্তা রক্ষীরা থাকছেন। এ সময় রাস্তাঘাটে আলাদাভাবে নিরাপত্তা দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু যানবাহন বন্ধ রেখে পথচারীদের ভোগান্তির শিকার হতে হবে কেন? এ ব্যাপারে পুলিশ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে জানা যায় ঊধর্্বতন মহলের নির্দেশেই সবকিছু করা হচ্ছে এখানে তাদের কিছু করার নেই। বাছাইপর্ব বা অনুশীলনকে ঘিরে যখন এই অবস্থা তখন টপ টেনের লড়াই শুরু হলে ঢাকা অচল হওয়ার উপক্রম হবে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।