আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দৃশ্যমান অ্যাকশন নিলে নির্বাচন ভালো হতে পারে

দৃশ্যমান অ্যাকশন নিলে উপজেলা নির্বাচন ভালো হতে পারে বলে মনে করেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারের (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের শক্ত মনিটরিং ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর অবস্থানের ওপর নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার বিষয়টি নির্ভর করে। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি এসব কথা বলেন।

সাবেক এই কমিশনার বলেন, বিগত কয়েক ধাপের নির্বাচনে ব্যাপক সহিংসতার কারণে কমিশনের ভাবমূর্তি অনেকটাই নষ্ট হয়েছে। তাই ইসির ভাবমূর্তি রক্ষার জন্য হলেও কমিশনকে কিছু দৃশ্যমান অ্যাকশন নেওয়া উচিত।

আর কমিশনের কাছে অভিযোগ এলে তা খতিয়ে দেখা দরকার এবং অভিযোগ সত্য হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া উচিত। তাহলেই নির্বাচনের পরিবেশ ঠিক রাখা যায় বলেও মনে করেন তিনি। তিনি বলেন, আমাদের কাছে অভিযোগ এলে আমরা দ্রুত তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতাম। আর প্রশাসন ইসির কথা না শুনে কোথায় যাবে? ইসি কঠোর হলে তারাও কথা শুনবে। তবে এ ক্ষেত্রে সরকারের সহযোগিতাও লাগবে।

এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু করার বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের একার দায়দায়িত্ব নয়, সরকারের ওপরও এর দায়িত্ব রয়েছে। তাই বিগত কয়েক ধাপের নির্বাচনী সহিংসতার দায় সরকারকেও নিতে হবে। কেননা নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য সরকারের সদিচ্ছারও প্রয়োজন আছে। তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাচন কয়েক ধাপে করার যুক্তি দেখি না। তবে একসঙ্গে করলে নির্বাচন ভালো হতো বলে মনে করেন তিনি।

এ ক্ষেত্রে নির্বাচন করার জন্য মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেও ইসির হাতে ছয় মাস সময় থাকে। তারা এর মধ্যে সুবিধামতো সময়ে নির্বাচন করতে পারত।

সাবেক এই কমিশনার বলেন, বিগত উপজেলা নির্বাচনে কোনো প্রাণহানি ঘটেনি। তবে এবারের বিগত চার ধাপে কয়েকজনের প্রাণহানি ঘটেছে। নির্বাচনী সহিংসতায় উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেন তিনি।

এম সাখাওয়াত বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের পুরো সিস্টেম নষ্ট হয়ে গেছে। জনগণের মধ্যে পুরো নির্বাচন ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। এটা নিয়ে শুধু কমিশন নয় পুরো নির্বাচন ব্যবস্থাপনা বির্তকের মুখে পড়ছে। জনগণের মধ্যে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে যে আস্থার সৃষ্টি হয়েছিল তাও হারিয়ে যাচ্ছে। এমনটা চলতে থাকছে একসময় মানুষ ভোট দিতেই যাবে না।

এ ক্ষেত্রে নির্বাচনে সংঘাত-সহিংসতার জন্য তিনি নির্বাচনসংশ্লিষ্ট সবাইকে দায়ী করেন। তিনি বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু করা নিয়ে ইসির কোনো প্রতিবন্ধকতা থাকলে তা পরিষ্কার করা উচিত ছিল। নির্বাচনসংশ্লিষ্টদের জন্য একটা জবাবদিহিতার ব্যবস্থা থাকা উচিত। এ ছাড়া কমিশনের তরফ থেকে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে কঠোরভাবে বলা হলেও তা মাঠ পর্যায়ে হয়নি। কেন হলো না তা খতিয়ে দেখে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও পরামর্শ দেন এই সাবেক কমিশনার।

 

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.