বিদেশে বাংলাদেশিদের অপরাধ প্রবণতা বাড়ছে। প্রবাসী মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে সহযোগী দৈনিকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে_ ২৩টি দেশে বর্তমানে চার হাজার ৫৪৬ জন বাংলাদেশি কারাবন্দী অবস্থায় রয়েছে। তবে জনশক্তি রপ্তানিকারক ও গবেষকদের মতে বাস্তবে এ সংখ্যা আরও বেশি। এদের মধ্যে খুনের মতো অপরাধে জড়িত থাকায় ৫০ জন বাংলাদেশিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশে দণ্ডিত করা হয়েছে। বর্তমানে সংযুক্ত আরব আমিরাতের কারাগারে রয়েছেন ৯৪৭ জন বাংলাদেশি। সৌদি আরবের কারাগারে রয়েছেন ১ হাজার ২৫৫, মালয়েশিয়ায় ৫৬৬, ওমানে ১৪৩, ইরাকে ৮৮, হংকংয়ে ৩৮, সিঙ্গাপুরে ৯০, মালদ্বীপে ৫২, ইতালিতে ৩৫, গ্রিসে ৩৫, কাতারে ২৩, তুরস্কে ৫, ব্রুনাইতে ৪ জন, আজারবাইজান ও জর্জিয়ায় দুজন করে বাংলাদেশি কারাগারে আটক আছেন। বিদেশের কারাগারে যারা আটক আছেন তাদের অনেকেই দেশে অপরাধবৃত্তির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। বিদেশে পাঠানোর ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন না করায় তারা দেশের সুনামের জন্য বিড়ম্বনা ডেকে আনছে। দেশের গুরুত্বপূর্ণ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে জনশক্তি রপ্তানি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পেছনে অপরাধপ্রবণতা অন্যতম কারণ হিসেবে কাজ করেছে। মধ্যপ্রাচ্য ও মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে এটি নেতিবাচক প্রভাবও ফেলেছে। বিদেশে বাংলাদেশিরা কীভাবে অপরাধপ্রবণতায় জড়িত হয়ে পড়ছে তার প্রমাণ সংযুক্ত আরব আমিরাতে বর্তমানে আটক ৯৪৭ জন বাংলাদেশির মধ্যে ১৯ জন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। ১০৪ জনের যাবজ্জীবন দণ্ড হয়েছে। আমাদের মতে, দুটি কারণে বিদেশে দেশের ভাবমূর্তির সংকট সৃষ্টি হচ্ছে। প্রথমত, বিদেশে লোক পাঠানোর ক্ষেত্রে যথাযথ খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে না। অপরাধবৃত্তির সঙ্গে জড়িতরা বিদেশে গিয়ে দেশের সুনামকে জিম্মি করছে। বিদেশে যাওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট কর্মীকে সে দেশের আইনকানুন সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত ধারণা দেওয়ার কথা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। ১৯৭৬ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ৮৭ লাখ বাংলাদেশি বিদেশে গেলেও ব্রিফিং দেওয়া হয়েছে মাত্র ১১ লাখ লোককে। বিদেশের আইনকানুন সম্পর্কে অজ্ঞ থাকায় অনেকে না জেনেও জড়িয়ে পড়েছে অপরাধে। নিজের পাশাপাশি দেশের জন্যও বয়ে আনছে বিড়ম্বনা।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।