আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ছাত্রলীগ নেতা রুস্তম আলী খুনের ধূম্রজাল ক

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতা রুস্তম আলী খুনের ধূম্রজাল কাটছে না। বিভিন্ন গণমাধ্যমে তথ্যপ্রমাণসহ ঘটনার উপস্থাপন, মেডিকেল রিপোর্ট এবং অনুসন্ধানে ছাত্রলীগের সম্পৃক্ততার বিষয়টি স্পষ্ট হলেও শিবিরের বিরুদ্ধে তাদের অব্যাহত ধর্মঘট এবং শিবির, পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নীরবতা এ ধূম্রজালকে আরও বিস্তৃত করছে।

শিক্ষার্থীদের কাছে জনপ্রিয় রুস্তম আগামী ১০ এপ্রিল অনুষ্ঠিতব্য সোহরাওয়ার্দী হল শাখার কাউন্সিলে সভাপতি পদে শক্তিশালী প্রতিযোগী ছিলেন। তাকে পরাজিত করতে মরিয়া ছিলেন আইন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছাত্রলীগ নেতা সেলিম হোসেন ও তার ঘনিষ্ঠ সহচর একই হলের ছাত্রলীগ কর্মী ইতিহাস বিভাগের সেলিম রেজা। আবাসিক শিক্ষার্থীদের দেওয়া তথ্য মতে, ঘটনার দিন ওই ২৩০ নম্বর কক্ষে চারজনের সঙ্গে সেলিম রেজাও ছিলেন। বাকিরা হলেন- ছাত্রলীগের প্রকাশনা সম্পাদক আসাদুল্লাহ আল গালিব, উপ-সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক শাহজাহান সম্রাট এবং আরেক কর্মী কবির হোসেন। পাশের রুমের ছাত্ররা ঘটনার কিছুক্ষণ আগে ওই রুমে বাকবিতণ্ডা এবং চেঁচামেচির শব্দ পান। এর পর বেলা ১টার দিকে সবাই বেরও হয়ে যান। রুস্তম গোসল শেষে রুমে ফেরার পর সর্বশেষ ওই রুমে সেলিম রেজাকে ঢুকতে দেখেছেন কয়েকজন আবাসিক শিক্ষার্থী। তিনি ঢোকার ৫-৭ মিনিট পর গুলির শব্দ শুনতে পান হলের শিক্ষার্থীরা। সর্বপ্রথম তার রুমে ছুটে যান গালিব। পরে সেলিম, কবির, সম্রাট ও হাসান নামে একজন তাকে উদ্ধার করে মেডিকেলে নিয়ে যান। কয়েকজন শিক্ষার্থী এ সময় সেলিমকে ওই কক্ষের সামনে অস্থিরভাবে পায়চারী করতে দেখেছেন। ঘটনার পর থেকে একের পর এক সরাসরি শিবিরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে ছাত্রলীগ। গতকাল তৃতীয় দিনের মতো ক্লাস-পরীক্ষা, পরিবহন সব বন্ধ করে ধর্মঘট অব্যাহত রাখেন তারা। অন্যদিকে গতকাল মানববন্ধন ও র্যালি করে রুস্তমের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা। রুস্তমের এক বন্ধু জানান, ঘটনার পর ছাত্রলীগ রুস্তমের পরিবারকে মামলা করতে বললেও তারা করেননি। রাজনীতির কারণে মূল আসামিরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে বরং রুস্তমের নিরপরাধ অরাজনীতিক বন্ধুরাই ফেঁসে যাবে ভেবে পরিবারের সদস্যরা এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান ওই বন্ধু।

এমন অবস্থায় কীভাবে কী কারণে খুন হলেন রুস্তম তার ধূম্রজাল কাটছেই না। এটি ছাত্রলীগে ঘাপটি মেরে থাকা ছাত্রশিবিরের কারসাজি, নাকি নিজেরাই অঘটনাটি ঘটিয়ে নিজেরাই আন্দোলন করে শিবিরের ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা চালাচ্ছে তা নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন। পুলিশই বা কেন পরিষ্কারভাবে মুখ খুলছে না তাও রহস্যজনক।

এদিকে শিবিরকে অভিযুক্ত করে ছাত্রলীগের করা মামলায় পুলিশ রাবি ছাত্রশিবিরের অর্থসম্পাদক ছানাইল জ্যাকি ও কর্মী খুরশেদ আলমকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিয়েছে। মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ বি এম রেজাউল ইসলাম বলেন, 'এখনো সুনির্দিষ্ট করে কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে সব ধূম্রজাল কেটে খুব শীঘ্রই প্রকৃত রহস্য বের হয়ে আসবে।'

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর তারিকুল হাসান বলেন, পুলিশ তদন্ত করছে। ধর্মঘট তুলে নেওয়ার ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ছাত্রলীগের সঙ্গে আলোচনা চলছে।

এ ব্যাপারে শিবির কোনো আনুষ্ঠানিক বিৃবতি না দিলেও তাদের মতে, দলীয় কোন্দলেই রুস্তম খুন হতে পারে।

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.