আমি যে কেনো কাঁদি , জন্মাবধি ! বৃষ্টি-দগ্ধ হয়ে ডুবে থাকি কারো তন্দ্রাহত দৃষ্টির গভীরে ... অনিন্দিতা ! তোমায় ভালোবাসি ! অনিন্দিতা ! চেয়ে দেখ আজ এইখানে , এখানে এই অন্ধ শিশিরের রাতে , বুড়ো চাঁদের মরা জোছনায় জলে তোমার দেহখানি ভাসে ! এইতো ক্ষনিক আগে - অনিন্দিতা , তোমারও ছিল এক হৃদয়- কাঁচের মতন , ছিল গোধুলির প্রেম - কামনার মত রূপ , সন্ধ্যার আধারে শিশিরের সুঘ্রান ভেসে আসে জলে নিঃসঙ্গ দুটি বেলপাতা ঝরে পরে - তোমার গৌর নাভিতে , নিশ্চুপ । তেতুলের ধুসর ডালে বসে বসে নির্ঘুম পেঁচারা , তোমায় দেখে অপলক অনিন্দিতা ! অনুভব করো কিছু ? তোমার সিক্ত দেহ ছুয়েছে দেখ , অচেনা এক সুদর্শন যুবক । এখানে হাত রাখে নাই কেঊ কখনই , এই রক্ত অধর বেয়ে , চুলের শেষ ডগা পর্যন্ত ছোঁয়ার অধিকার হয় নাই কারো আগে । অথচ যুবক কী অবলীলায় তোমাকে জল হতে তুলে নিল ছুয়ে দিল , কামহীনভাবে । যুবকের দুটি হাত অধীর শোকে, প্রবল বেগে চাপ দেয়- তোমার উদোম বুকে । চুপ করে কেন , অনিন্দিতা ? গত জনমে জীবন যেমন ছিল , এ জনমও কাটল তোমার বৃথা । সন্ধ্যার আঁধারে , জারুলের ছায়ায় , ডালিমের তলে - যুবক ধরেছিল হাত দুটি তোমার - কাছে টেনে বলেছিল - অনিন্দিতা ! তোমায় ভালোবাসি । তোমার ঠোঁটের কোনায় হাসি , হৃদয় পেল ছাড়া তবে কেন অনিন্দিতা - মরিবার এতো তোমার তারা ? অনিন্দিতা ! দেখ যুবক কাঁদে প্রাচীন অশ্বথ এক , ফেলে দীর্ঘশ্বাস অগ্রানের রাতের এই হলুদ জোছনায় তুমি আর যুবতী নাও , এক নগ্ন লাশ । * * *
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।